‘পঞ্চায়েত সিজন ৪’ - র পোস্টার
সম্প্রতি ওটিটিতে প্রকাশ পেয়েছে পঞ্চায়েত সিজন ফোর। পঞ্চায়েতের প্রত্যেকটি সিরিজই দর্শকের কাছে যে ভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তা থেকেই পঞ্চায়েত সিজন ফোর নিয়ে দর্শকদের কাছে আলাদাই অনুপ্রেরণা ছিল। সেই চাহিদা মাথায় রেখেই এবারের সিজনেও মন কেরেছে পরিচালক। তবে পাল্টে গিয়েছে ছবিটির প্রকাশ ভঙ্গি। ফুলেরার মানুষজনের মধ্যে সেই সারল্যতা যেন আর নেই।
গ্রাম্য জীবনের যে সারল্য, হাস্যরস, ছোট দুঃখ, ছোট-ছোট ব্যথা, মুচকি হাসি, চোখের দুই ফোঁটা জল আর শহুরে চালাকির থেকে দূরের একটা দৈনন্দিন রোজনামচা দিয়ে এই ওয়েব সিরিজ শুরু হয়েছিল। সেখান থেকে ধীরে ধীরে অনেকটাই সরে গিয়েছে। দ্বিতীয় সিজনের শেষ থেকেই সেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল। ফুলেরার মানুষজনকে ঠিক যে কারণে ভালো লেগেছিল, ঠিক সেটাই কেড়ে নেওয়া হল তাদের থেকে।
সিজন ফোর-এর কেন্দ্রে রয়েছে পঞ্চায়েত ইলেকশন। একদিকে মঞ্জু দেবী অন্যদিকে ক্রান্তি দেবী। সেই ইলেকশনকে কেন্দ্র করে ভোট প্রচারের লড়াই, হাতাহাতি, রাজনীতির নানান কূটকাচালি, ক্ষমতা নিয়ে খ্যাপামি! এই সিরিজ যত এগিয়েছে প্রধানজীর চরিত্র তত বেশি বিরক্তির উদ্রেক করেছে।
যে অমলিন ‘হৃদয়’ ছিল ‘পঞ্চায়েত’-এর প্রধান, তার বদলে জাঁকিয়ে বসেছে সন্দেহ, বিরক্তি, হিংসা। এসব জীবনেরই অঙ্গ কিন্তু সেটা এই ওয়েব সিরিজের গোড়ার দিকের ফুলেরার যে জীবনশৈলী তার সঙ্গে মিশে যায়নি । এই নতুন সিরিজে ফুলেরার মানুষদের মধ্যে পরিবর্তন বেশি চোখে পড়ল। সেই সঙ্গে সিরিজের হিরো,সচিবজী, তাঁকে এই ইলেকশনের ডামাডোলের বাজারে একটু দিশেহারা লাগল।
কিন্তু তবু বিনোদের আনন্দে কোনও ভেজাল ছিল না। সে কেবল জানে সে যার পাশে থেকেছে সেই লোকটা জিতেছে। বিনোদ নিজের বন্ধুত্বের ধর্ম পালন করতে পেরেই খুশি।