হাসিনা কতদিন ভারতে থাকতে পারবেন, স্পষ্ট করে জানালেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর |
হাসিনা কতদিন ভারতে থাকতে পারবেন, স্পষ্ট করে জানালেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর
হাসিনা কতদিন ভারতে থাকতে পারবেন
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লিগ নেত্রী শেখ হাসিনাকে (Seikh Hasina) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। এরপরই তাঁকে ফেরত চেয়ে দিল্লিতে চিঠিও গেছে। সাজা ঘোষণার পর কেটে গেছে বেশ কয়েক সপ্তাহ, এখনও ভারতে আছেন হাসিনা। তিনি কতদিন এখানে থাকবেন বা ভবিষ্যতে কী করবেন (Hasina Stay in India), সেই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি তাঁর নিজেরই বলে জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, "হাসিনা যে পরিস্থিতির কারণে দেশে ফিরতে পারেননি, সেই অবস্থাই এখন তাঁর পরবর্তী সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করছে।"
গত বছরের অগস্টে বাংলাদেশে (Bangladesh) তীব্র সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্র আন্দোলনের (Students Protest) জেরে দেশজুড়ে অস্থিরতা বাড়ে, প্রাণ হারান শতাধিক মানুষ, আহতের সংখ্যা ছিল হাজারেরও বেশি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা (Seikh Hasina Left Bangladesh), পালিয়ে এসে আশ্রয় নেন ভারতে। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফাও দেন। গত নভেম্বর মাসে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তাঁর অনুপস্থিতিতেই ‘মানবতা বিরোধী অপরাধ’ মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয়। অভিযোগ ছিল, ছাত্র আন্দোলনের সময় তাঁর সরকার কঠোর দমন-পীড়ন চালিয়েছিল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্করকে (S. Jaishankar) প্রশ্ন করা হয়, শেখ হাসিনা কি আর ভারতে থাকতে পারবেন? জবাবে তিনি বলেন, "ওটা আলাদা প্রসঙ্গ। তিনি যে পরিস্থিতিতে ভারতে এসেছেন, সেই পরিস্থিতিই তাঁর ভবিষ্যতের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করছে। শেষ পর্যন্ত তিনিই ঠিক করবেন, তিনি কী করবেন, কীভাবে করবেন।"
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক (India-Bangladesh Relation) নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, দিল্লির অবস্থান খুবই স্পষ্ট, প্রতিবেশী দেশে একটি সৎ, বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জরুরি। তাঁর কথায়, "বাংলাদেশে যারা এখন ক্ষমতায়, তারাই অতীতের নির্বাচনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যদি নির্বাচন-ই সমস্যা হয়, তাহলে তাঁদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত একটা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা।”
তিনি আরও বলেন, "ভারত (India) সবসময়ই চায় বাংলাদেশ (Bangladesh) সুস্থ, স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে এগিয়ে যাক। আমরা চাই বাংলাদেশ ভালো থাকুক। প্রতিটি দেশের মানুষ তাদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারুক এবং সেই মতামত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিফলিত হোক।"
বিদেশমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, "আগামী দিনে যাই রাজনৈতিক পরিবর্তন আসুক, তা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও পরিণত করবে। দুই দেশ সুসম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে যাবে।" তাঁর কথায়, 'যে-ই ক্ষমতায় আসুক, আমরা আশা করি দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।'