তুলসীমঞ্চে নিয়মিত এই কাজ করুন
হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। বাড়ির এক প্রান্তে মঞ্চ নির্মাণ করে তুসীর চারা পুঁতলে তা শুভ বলে মনে করা হয়। শুধু গ্রামাঞ্চলেই নয়, শহরের প্রতিটি বাড়িতেই তুলসী গাছকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করেন হিন্দুরা। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে তুলসীর গুরুত্ব ও অবদান অপরিসীম। শুধু ঔষধি গুণই নয়, জ্যোতিষশাস্ত্রে ও হিন্দু ধর্মে এর গুরুত্ব রয়েছে অনেক। তাই তুলসী গাছ যতটা আয়ুর্বেদশাস্ত্রে উপকারে কাজে লাগে। তুলসী গাছের পুরোটাই উপকারী। পাতা, ফুল, ডাল, মূল, কোনওটাই ফেলনা নয়।
হিন্দুধর্মে তুলসীকে দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে তুলনা করা হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্বাস করা হয় তুলসী গাছে লক্ষ্মীর বাস। তাই রোজ পুজো করা আবশ্যিক। লক্ষ্মী জ্ঞানে তুলসী পুজো করলে ঘরে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। পজিটিভিটি বৃদ্ধি পায়। আর্থিক উন্নতি ঘটে পরিবারের। প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় বা স্নানের পর অধিকাংশ তুলসী মঞ্চে ধূপ, প্রদীপ জ্বালিয়ে বা জল নিবেদন করে পুজো করে থাকেন। এখানেই শেষ নয়, যদি আপনি সারাজীবন ভাগ্য উজ্জ্বল রাখতে চান তাহলে অবশ্যই তুলসী পুজো করার সময় এই নিয়মগুলি মেনে চলুন।
আখের রস নিবেদন: তুলসী গাছে জল অর্পণ করবেনই, পাশাপাশি আখের রস নিবেদন করাও খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই নিয়ম মেনে চললে ঘর থেকে দারিদ্র্য দূর হয়। সুখ-শান্তি বজায় থাকে। এর জন্য তুলসী গাছে আখের রস সাতবার নিবেদন করতে হবে, নিজের নাম ও গোত্র গ্রহণ করতে হবে। এতে ঘরের আঁটসাঁট ভাব দূর হয়। এমনটা করার ফলে অর্থেরও কখনও ঘাটতি পড়ে না।
সকাল-সন্ধ্যেয় প্রদীপ জ্বালানো: তুলসীর উদ্দেশ্যে প্রদীপ জ্বালানো অত্যন্ত শুভ। এর ফলে ঘরে লক্ষ্মীর প্রবেশ ঘটে। প্রতিদিন সন্ধ্যের সময় তুলসীর উদ্দেশে প্রদীপ জ্বালালে ঘরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়।
জল নিবেদন: তুলসী গাছে জল নিবেদন করা শুভ বলে মনে করা হয়। প্রতিদিন সকালে সূর্যোদয়ের সময় তুলসীকে জল নিবেদন করলে ঘরে সুখ শান্তি ফিরে আসে। ঘরের রোজকার অশান্তিরও অবসান ঘটে।