পুজোর আগে গোলাপি করবেন কী করে?
মানসিক চাপ যাচ্ছে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন, সপ্তাহান্তে ঠেক বসেছে? সবেতেই সিগারেট না হলে চলে না। আবার বেশ গর্বের সঙ্গে বলেন সুখটান? এদিকে সুখটান যে আপনার শখের ঠোঁটের বারোটা বাজাচ্ছে সেদিকে খেয়াল আছে। তার সঙ্গে আছে দীর্ঘদিনের অবহেলা। এই দুইয়ের যুগলবন্দিতে কালচে হয়ে গেছে আপনার ঠোঁট? বিশেষ করে সিগারেটের নিকোটিন, তামাকের রাসায়নিক উপাদান এবং ধোঁয়ার টক্সিন ঠোঁটের কোষের স্বাভাবিক রঙ নষ্ট করে দেয়। পাশাপাশি পর্যাপ্ত জল না খাওয়া, অতিরিক্ত চা-কফি, রোদের সরাসরি প্রভাব, কেমিক্যাল-ভরা লিপস্টিকের ব্যবহার এবং নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন না করার কারণে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে রঙ হারাতে থাকে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে প্রাকৃতিক উপায় কাজে লাগালে ধীরে ধীরে কালো ঠোঁটে আবারও প্রাকৃতিক গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
ধূমপান: নিকোটিন ঠোঁটের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
জলশূন্যতা: শরীরে জলের অভাব ঠোঁট শুকিয়ে ফাটিয়ে ফেলতে পারে।
সূর্যালোক: অতি বেগুনি রশ্মি মেলানিন উৎপাদন বাড়িয়ে ঠোঁট কালো করে দেয়।
রাসায়নিক প্রসাধনী: সস্তা লিপস্টিক ও লিপবাম ঠোঁটের রঙ নষ্ট করে।
অযত্ন: এক্সফোলিয়েশন ও ময়েশ্চারাইজারের অভাবে মৃতকোষ জমে ঠোঁট কালচে হয়।
কী ভাবে পুজোর আগে ফিরে পাবেন গোলাপি ঠোঁট?
১. কালো ঠোঁটকে গোলাপি করার প্রথম শর্ত হলো সিগারেট ছাড়ার চেষ্টা করা। যতদিন ধূমপান চলবে, ততদিন অন্য কোনো যত্নে স্থায়ী ফল মিলবে না।
২. পর্যাপ্ত জল পান করতেই হবে। দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি খেলে শরীর হাইড্রেট থাকে, ঠোঁটের শুষ্কতা কমে এবং প্রাকৃতিক রঙ উজ্জ্বল হয়।
৩. বাইরে বেরোনোর সময় এসপিএফ-সমৃদ্ধ লিপবাম ব্যবহার করুন। এতে ইউভি রশ্মি ঠোঁটে অতিরিক্ত মেলানিন জমতে দেবে না।
৪. এক্সফোলিয়েশন করুন। এতে মৃত কোষ থেকে মুক্তি পায় ঠোঁট। চিনি এবং মধুর মিশ্রণ দিয়ে ঠোঁটে হালকা ঘষুন। সপ্তাহে ২–৩ বার করলে মৃতকোষ দূর হবে, ঠোঁট হবে নরম এবং উজ্জ্বল।
৫. ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। যেমন লেবুর রস ঠোঁটের কালচে ভাব কমায়। রাতে লাগিয়ে রেখে সকালে ধুয়ে ফেলতে পারেন। মধু ও গোলাপ জল ঠোঁট আর্দ্র ও নরম করে গোলাপি আভা আনে। বিটের রস ঠোঁটে প্রাকৃতিক গোলাপি রঙ আনে। রাতে লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল কোষ পুনর্গঠন করে এবং ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ ফিরিয়ে আনে।
৬. সঠিক লিপবাম ব্যবহার করাটা গুরুত্বপূর্ণ। রাসায়নিকমুক্ত, ভিটামিন-ই বা শিয়া বাটার সমৃদ্ধ লিপবাম ব্যবহার করলে ঠোঁট পুষ্টি পায় এবং রঙ উজ্জ্বল হয়।
৭. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন আনুন। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার (কমলা, আমলকি, ডালিম, সবুজ শাকসবজি) ত্বক ও ঠোঁট উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।