টক দই মুখে তুলতে পারেন না?
ভারতীয় রান্নায় টক দই শুধু স্বাদের জন্য নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও সমান জরুরি। এতে আছে প্রোবায়োটিকস, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি১২, যা হজম ভাল করে, ইমিউনিটি বাড়ায় আর হাড়কে মজবুত করে। অবশ্য টক দই (Sour Curd) শুধুও খান অনেকে। কারও আবার সেটা অত্যন্ত অপছন্দের। অনেকেই আবার একঘেয়ে স্বাদের কারণে টক দই খেতে চান না। তাদের জন্য দই খাওয়ার কয়েকটি ভিন্ন কৌশল আছে, যা টেবিলে আনবে বৈচিত্র্য, আর শরীরেও যাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
১. মধু-দইয়ের মিষ্টি মেলবন্ধন
টক দইয়ের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এতে দইয়ের টকভাব কমে যাবে, আর হজমশক্তিও বাড়বে। সকালের টিফিনে দারুণ মানিয়ে যায়।
২. ফলের দই স্মুদি
দই, আম বা কলা ও সামান্য মধু ব্লেন্ড করে নিন। কয়েকটি বাদাম ছড়িয়ে দিলে এটি হয়ে উঠবে পুষ্টিকর, টেস্টি স্মুদি – যা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখবে।
৩. পুদিনা-ভাজা জিরে দিয়ে দই
টক দই ফেটিয়ে তার মধ্যে ভাজা জিরে গুঁড়ো, অল্প লবণ ও কুচো পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিন। সহজ এই রেসিপি খাওয়ার পরে হজমে সাহায্য করবে।
৪. দই-স্যালাড
মেয়োনিজের বদলে টক দই দিয়ে বানিয়ে ফেলুন স্যালাড। শসা, গাজর, টম্যাটোর ওপর টক দই ছড়িয়ে নিলেই মিলবে হেলদি ও লো-ক্যালোরি স্যালাড।
৫. ভাত বা খিচুড়ির সঙ্গে
গরম ভাত বা খিচুড়ির পাশে টক দই, এ যেন বাঙালির চিরন্তন কমফোর্ট ফুড। হালকা খাবারের জন্য এটি হতে পারে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী উপায়।
টক দইয়ের উপকারিতা অনেক, শুধু খাওয়ার ধরন বদলালেই এর স্বাদ হয়ে উঠতে পারে আরও আকর্ষণীয়। তাই একঘেয়ে মনে হলে নতুন নতুন টুইস্ট যোগ করুন, আর দই হোক প্রতিদিনের পাতে স্বাস্থ্য আর স্বাদের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।