খসখসে ভাব হবে ভ্যানিশ!
খসখসে ত্বক কেউ চান না। কিন্তু শীতকাল (Winter) এমনই যে, এই সময় অনেকের ত্বক বেশ খসখসে হয়ে পড়ে। এই মরসুমে গোড়ালি ও ঠোঁট ফাটে অনেকের। কারও কারও আবার নাকের চারপাশ খুব শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বকের মৃত কোষ থেকে খসখসে ভাবটা বাড়তে থাকে। তাই এই সময় ত্বকের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। এ বার খসখসে ভাব ভ্যানিশ করতে বাড়িতে থাকা কয়েকটি জিনিস মাখলেই হবে কাজ।
নাকের চারপাশের রুক্ষতা দূর করতে আপনার রান্নাঘরের উপাদান দিয়েই তৈরি করতে পারেন কার্যকর ফেস প্যাক বা ময়েশ্চারাইজার। নিম্নে সেই ৫ জিনিস নিয়ে আলোচনা করা হল, যা মাখলেই ফিরবে ত্বকের উজ্জ্বলতা।
১. খাঁটি নারকেল তেল
নারকেল তেলে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা ত্বকের শুষ্কতা দূর করে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়। প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ২-৩ ফোঁটা খাঁটি নারকেল তেল নিয়ে নাকের চারপাশের খসখসে জায়গায় আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। সারা রাত এটি ত্বকে থাকতে দিন।
২. মধু ও দুধের মিশ্রণ
মধু একটি প্রাকৃতিক হিউমেক্ট্যান্ট, যা বাতাস থেকে আর্দ্রতা টেনে এনে ত্বকে ধরে রাখে। দুধ ত্বককে কোমল করে। ১ চামচ কাঁচা দুধ ও ১/২ চামচ মধু দিয়ে একটি মিশ্রণ বানান। এই মিশ্রণটি নাকের চারপাশে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে নরম রাখবে।
৩. অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা ত্বককে ঠান্ডা করে এবং জ্বালা বা লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে। সরাসরি গাছ থেকে নেওয়া বা খাঁটি অ্যালোভেরা জেল খসখসে অংশে লাগান। এটি দ্রুত শোষিত হয় এবং ত্বককে আর্দ্রতা দেয়। দিনে ২ বার ব্যবহার করতে পারেন।
৪. পেট্রোলিয়াম জেলি
পেট্রোলিয়াম জেলি একটি দারুণ ময়েশ্চারাইজার। যা ত্বকের উপর একটি রক্ষাকারী স্তর তৈরি করে আর্দ্রতা আটকে রাখে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সামান্য পেট্রোলিয়াম জেলি নাকের চারপাশের শুষ্ক ও ফেটে যাওয়া অংশে পুরু করে লাগান। এটি সারারাত ত্বককে সুরক্ষিত রাখবে।
বাড়ির বাইরে বেরোনোর ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। শীতকালেও সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বককে শুষ্ক করে তুলতে পারে। এই সহজ যত্নগুলো নিয়মিত মেনে চললে শীতে আপনার নাকের চারপাশের ত্বক থাকবে কোমল, মসৃণ এবং উজ্জ্বল।