মাত্র ২ মাসে ১৭ কেজি ওজন ঝরিয়ে তাক লাগালেন সরফরাজ, নেপথ্যে ‘গ্রিন কফি’
১৭ কেজি ওজন ঝরিয়ে তাক লাগালেন সরফরাজ
ভারতের উঠতি ক্রিকেটারদের তালিকায় তাঁর নাম অনেক দিন ধরেই আছে। কিন্তু শরীরচর্চার পাশাপাশি কঠোর ডায়েট মেনে মাত্র দু’মাসে ১৭ কেজি ওজন ঝরিয়ে চমকে দিলেন সবাইকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের এই ‘রূপান্তর’-এর গল্প শেয়ার করেই চর্চার কেন্দ্রে সরফরাজ খান। আর এই পরিবর্তনের পিছনে রয়েছে একটি তুলনামূলক কম পরিচিত নাম, গ্রিন কফি।
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরফরাজের বাবা নওশাদ খান জানান, সরফরাজ গত এক থেকে দেড় মাস ধরে রুটি, ভাত একেবারেই খাননি। শুধু সবুজ শাকসবজি, ব্রোকলি, গাজর, শশা, গ্রিলড মুরগি ও মাছ, সিদ্ধ ডিম খেয়েছেন। সঙ্গে রয়েছে গ্রিন টি আর গ্রিন কফি। চিনি, ময়দা, বেকারিজ, সব বন্ধ।
গ্রিন কফি মানে এমন কফি বিন যা ভাজা হয়নি। এগুলির রং খানিকটা সবজে, কারণ এগুলি এখনও রোস্ট হয়নি। আর রোস্ট না হওয়ায় এই কফির মধ্যে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড (CGA) নামে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বেশি মাত্রায় থাকে, যা ওজন কমাতে সহায়ক বলে মনে করা হয়।
ওজন কমাতে কতটা কার্যকর এই কফি?
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত গ্রিন কফি এক্সট্র্যাক্ট খেলে শরীরে মোট ফ্যাট, বডি মাস ইনডেক্স এবং ওজনের পরিমাণ কমে যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রেও বলা হচ্ছে, এটি কোনও ম্যাজিক নয়, সঠিক ডায়েট ও শরীরচর্চার পাশাপাশি সহায়ক মাত্র।
২০২১ সালের একটি স্টাডি অনুযায়ী, গ্রিন কফি রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের জন্য এটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবেও কাজ করে। তাই ত্বকের স্বাস্থ্য বা বয়সের ছাপ প্রতিরোধে এটি অনেকের নতুন ভরসা হয়ে উঠছে।
সবদিক বিচার করে গবেষকরা বলছেন, গ্রিন কফি হয়তো ওজন কমানোর একমাত্র উপায় নয়। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা ও লাইফস্টাইল বজায় রেখে একে ডায়েটের অংশ করলে শরীরের উপকারই হবে।
পুষ্টিবিদরা যদিও বলছেন, এই নিয়ে সব গবেষণাই এখনও প্রাথমিক স্তরে। তাই প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত।