তুড়ি মেরে তাড়ান শীতের শুষ্কতা,
বাতাসে মৃদু শীতল হাওয়ার শিরশিরানি আর সঙ্গে ত্বকে পরিবর্তনই বলে দিচ্ছে পারদ কমছে। আর তাই জাঁকিয়ে শীত পড়ার পর তো বটেই শীত আসার আগেও নিজের ত্বকের জন্য বিশেষ যত্নশীল হতে হবে। শুধু ময়শ্চারাইজার, বডি অয়েল কিংবা কোল্ড ক্রিম মাখলেই হবে না। একই সঙ্গে সঠিক খাওয়াদাওয়াও করতে হবে। ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে হলে দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল পান করতে হবে। আর সঙ্গে সঠিক খাওয়াদাওয়া ও এই পাঁচ রকমের চা মাস্ট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পাঁচ ধরনের চায়ে চুমুক দিলেই নাকি ত্বকে ভরপুর জেল্লা বজায় থাকবে গোটা শীতকাল জুড়ে। কোন কোন চা রয়েছে এই তালিকায় জেনে নিন।
গ্রিন টি-তে রয়েছে ভরপুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ত্বককে তৈলাক্ত রাখে এবং চুলের সুস্বাস্থ্যও বজায় রাখে। একদিকে ত্বকে ওপেন পোরসের সমস্যা, ব্রণ হওয়ার মতো নানা সমস্যার যেমন সমাধান হয় এই চা পান করলে, তেমনই চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যার সমাধানও করে।
ত্বকের জেল্লা বাড়াতেই শুধু নয়, রোজ টিতে চুমুক দিলেও বড়বে ত্বকের জেল্লা। সঙ্গে ভালো হবে চুলের স্বাস্থ্যও। এই চা ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের ভারসাম্য বজায় রাখে। ত্বকে কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে, যাতে ভালো থাকে ত্বক। অন্যদিকে চুলের রুক্ষতাও দূর করতে সক্ষম এই রোজ টি। স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্যও ধরে রাখে।মজবুত ও ঘন চুল পেতে চাইলে প্রতিদিন পুদিনা টি মাস্ট। এতে থাকা নানা উপাদান চুল পড়া বন্ধ করে, স্ক্যাল্পের সুসাস্থ্য ধরে রাখে, ও রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। একইসঙ্গে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে এই চায়ের জুড়ি মেলা ভার। ব্রণর সমস্যা দূর করে পুদিনা টি। বজায় রাখে শরীরে বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য।
ত্বকের শুষ্কতা সঙ্গে ডার্ক সার্কেল ও বলিরেখার সমস্যা দূর করতে ক্যামোমাইল চায়ের কোনও তুলনাই নেই। স্ট্রেস কমাতে ও ত্বকের শুস্কতা কমাতে এই চায়ের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়া রুখে দিতে পারে ক্যামোমাইল চা। একইসঙ্গে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও জেল্লা ধরে রাখতে এই শীতে নিয়ম করে পান করতে পারেন ক্যামোমাইল চা।