পুজোয় ক্যাটরিনার মতো মেদহীন টোনড বডি চাই
মেদহীন টোনড শরীর অর্জন করা কোনও রকেট সায়েন্স নয়। প্রতিদিনের অভ্যাসে কিছু সামান্য পরিবর্তন পারে আপনার কাঙ্ক্ষিত চেহারা এনে দিতে। সেই পরিবর্তনের প্রথম ধাপ হল সঠিক ডায়েট। অন্তত তেমনটাই মনে করেন পুষ্টিবিদ ও হেলথ কোচ রুচি শর্ম্মা। সেই পথে হেঁটেই ভাল ফল পেয়েছেন রুচি। কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে সেই কথাই জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ।
তিনি বলেন, “আমি প্রায় ৫ কেজি ওজন কমিয়েছি আর এক মাসে পেয়েছি সমতল পেট। এর জন্য কোনও ম্যাজিক পিল দরকার হয়নি। শুধু জানতে হবে কোন খাবারগুলো আগে বন্ধ করতে হবে। এই ৫ ধরনের খাবার নিঃশব্দে আমাকে আটকে রেখেছিল।”
কোন ৫ খাবার এড়িয়ে চলার কথা বলেন রুচি?
১. রিফাইন্ড সিড অয়েল যেমন -সূর্যমুখী বা সয়াবিন তেল। রুচি বলেছেন, ভাজা খাবার, বিস্কুট, রেস্টুরেন্টের খাবার সব জায়গাতেই এই তেল থাকে। এগুলো আপনার হরমোনের ভারসাম্য, অন্ত্রের সুরক্ষা এবং হজম শক্তিকে প্রভাবিত করে। রুচির পরামর্শ বদলে ঘি আর কোল্ড-প্রেসড নারকেল তেলে ব্যবহার করতে পারেন। তিনিও তাই করেছেন। এতেই পেটফাঁপাভাব কমেছে, শক্তি বেড়েছে, মুড স্থিতিশীল হয়েছে।
২. ব্রেড, নুডলস, পাস্তা – রুচির কথা অনুসারে, শুধু কার্বোহাইড্রেট খেলেই রক্তে শর্করা হঠাৎ বেড়ে যায় এবং শরীরে চর্বি জমতে থাকে। তবে কার্বস সব নয়। কার্বসের সঙ্গে প্রোটিন\ও ফাইবার আছে। যেমন ধোসায় পনির যোগ করা, ভাত-সবজির সঙ্গে টোফু খাওয়া। এতে এনার্জি স্থিতিশীল হয়, খিদে নিয়ন্ত্রণ হয়।
৩. চায়ের স্ন্যাক্স – বিস্কুট, ডায়েট নিমকি, মাখানা এই সব খাবার সকলের প্রিয়। এগুলো দেখতে হালকা মনে হলেও সারাক্ষণ ইনসুলিনকে হাই রাখে। রুচি বলছেন দিনে ২-৩টি সলিড মিল নিন। বাকিটা হালকা খাবারের উপর থাকুন।
৪. হেলদি খাবারে লুকানো চিনি – প্রোটিন বার, হেলথ ড্রিঙ্ক, ফ্লেভারড দই, গ্র্যানোলা— সবই ‘হেলদি’ নামে বিক্রি হয়, কিন্তু চিনি, গাম আর নিম্নমানের উপাদানে ভরা। ডিম, টোফু, গ্রিক ইয়োগার্ট, প্রোটিন পাউডার, পনির, মুরগি ও মাছের মতো সম্পূর্ণ প্রোটিনে ফোকাস করেন রুচি।
৫. ফ্লেভারড কফি, নাট মিল্ক ও ‘হেলদি’ স্মুদি – এগুলোতে থাকে অ্যাডিটিভ, চিনি, কৃত্রিম উপাদান, এমনকি যখন এগুলোকে ডেইরি-ফ্রি বা প্লান্ট-বেসড বলা হয়। ব্ল্যাক কফি, সাধারণ দুধ বা হারবাল চায়ে পরিবর্তন করেছেন রুচি। কম চিনি ময়ানে ভাল অন্ত্র মানে পরিষ্কার মস্তিষ্ক।