পাঁচ বছরে ২০ কোটি লাড্ডুতে মিলেছে ভেজালের ছাপ
তিরুপতি বালাজি মন্দিরের (Tirupati Mandir) প্রসাদে ভেজাল ঘি মেশানোর অভিযোগে নড়েচড়ে বসেছে তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম্স (TTV)। তদন্তে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য— ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মন্দিরে বিতরণ হওয়া প্রায় ৪৮.৭৬ কোটি লাড্ডুর মধ্যে অন্তত ২০ কোটি লাড্ডুই (Spurious Ghee) তৈরি হয়েছিল ভেজাল ঘি দিয়ে।
এই তথ্য জানিয়েছেন টিটিডি ট্রাস্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান বি আর নাইডু। তিনি বলেন, মন্দিরে দৈনিক দর্শনার্থীর সংখ্যা, ঘি সংগ্রহের হিসেব, লাড্ডু উৎপাদন ও বিক্রির পরিমাণ— সব মিলিয়ে প্রাথমিক হিসেবেই দেখা যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ঘি ব্যবহৃত হয়েছে।
গত বছরই প্রথম ধরা পড়ে ভেজাল ঘি মেশানোর ঘটনা। পবিত্র প্রসাদে এ রকম ভেজাল মেশানোয় আঘাত লাগে লক্ষ লক্ষ ভক্তের ধর্মীয় অনুভূতিতে। মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিবিআই নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দলে (এসআইটি)।
তদন্তে উঠে এসেছে, ৬৮ লক্ষ কেজি ভেজাল ঘি, যার বাজারমূল্য প্রায় ২৫০ কোটি টাকা, সরবরাহ করেছিল উত্তরাখণ্ডের ভোলে বাবা ডেয়ারি এবং তাদের একাধিক শেল কোম্পানি। এই ঘি-তে মেশানো ছিল পাম অয়েল, পাম কার্নেল অয়েল এবং আরও বেশ কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান।
টিটিডি সূত্রে জানানো হয়েছে, পাঁচ বছরে প্রায় ১১ কোটি ভক্ত মন্দিরে দর্শনে গিয়েছেন। কারা ভেজাল ঘি-তে তৈরি লাড্ডু পেয়েছেন, তা আলাদা করে জানার কোনও উপায় নেই। এমনকি ভিভিআইপি লাড্ডুও আলাদা করে চিহ্নিত করা ছিল না।
সম্প্রতি এসআইটি আট ঘণ্টা ধরে জেরা করেছে টিটিডির তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ওয়াইএসআরসিপি সাংসদ ওয়াই ভি সুব্বা রেড্ডিকে। তদন্তকারী দল জানতে চেয়েছে, ল্যাবরেটরির রিপোর্টে ভেজাল ধরা পড়ার পরও কেন ঘি-র ট্যাঙ্কার মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল?
জবাবে সুব্বা রেড্ডির দাবি, সেই রিপোর্ট নাকি তাঁর কাছে পৌঁছয়নি। তিনি আরও বলেন, ঘি সংগ্রহ হয়েছে টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী। তাঁর প্রাক্তন সহকারী চিন্না আপ্পানাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে এসআইটি।