'রাধে রাধে' বলায় ৩ বছরের ছাত্রীকে চড়
'রাধে রাধে' বলায় তিন বছরের শিশুর ওপর নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শাস্তি হিসেবে মুখে টেপ লাগিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি শিশুটিকে চড়ও মারেন অভিযুক্ত (School Principal arrested for assaulting student)। তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ছত্তীসগড়ের পুলিশ।
জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার দুর্গ জেলার বাগদুমার গ্রামের ‘মাদার টেরেসা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল’-এ। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ স্কুলে ঢোকার সময় ওই ছোট্ট ছাত্রী প্রধান শিক্ষককে দেখে ‘রাধে রাধে’ (Radhe-Radhe) বলে। অভিযোগ, এরপরই প্রধান শিক্ষক তাঁর ওপর চড়াও হন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুধু চড় মারা নয়, শিশুটির মুখে প্রায় ১৫ মিনিট টেপ লাগিয়ে রাখেন এবং শারীরিকভাবেও নিগ্রহ করা হয়।
পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, শিশুটি বিকেলে যখন বাড়ি ফেরে, তখন মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিল। সে নিজের বাবা-মা'কে পুরো ঘটনা খুলে বলে। এরপরই তার বাবা নন্দিনী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, মেয়ের শরীরে আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদ্মশ্রী তানওয়ার জানান, 'শিশুটিকে একটি প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ার জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু এই শাস্তির ধরন একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক ও অন্যায় ছিল। শিশুটির মুখ টেপ দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয় এবং মারধরও করা হয়েছে (School Principal arrested for assaulting student)।'
ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ দায়ের হওয়ার কিছুক্ষণ পরই বজরং দল-সহ বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের কর্মীরা থানায় পৌঁছন এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানান। তাঁদের অভিযোগ, এই ঘটনার পেছনে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা কাজ করেছে। শুধুমাত্র ‘রাধে রাধে’ বলার জন্যই ওই শিশুকে এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।