রাজ্য পুলিশের ডিজি নিয়োগে বঞ্চনার অভিযোগ
রাজ্য পুলিশের ডিজি নিয়োগে (DG Recruitment) বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন শীর্ষ আইপিএস-এর (IPS)। সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেছেন রাজেশ কুমার (Rejesh Kumar IPS)। এ রাজ্যের ডিজি নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন তাঁর নাম বিবেচিত হয়নি, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আইপিএস রাজেশের দাবি, সিনিয়রিটির হিসেবে প্রথম তিনজনের মধ্যেই তাঁর নাম থাকার কথা ছিল। যদিও ইউপিএসসি-র যুক্তি, তালিকা যখন পাঠানো হয়েছিল তখন তাঁর চাকরির মেয়াদ ৬ মাসের বেশি ছিল।
১৯৯০ ব্যাচের আইপিএস অফিসার রাজেশ কুমার কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে (CAT) আবেদন করে ইউপিএসসি-র সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেছেন। অভিযোগ, তাঁকে এবং দু'জন সিনিয়র অফিসার— রাজীব কুমার (বর্তমান কার্যনির্বাহী ডিজিপি) ও রণবীর কুমারকে বেআইনিভাবে প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩-এ যখন ডিজিপি (HoPF) পদটি শূন্য হয়, তখন তিনজন সিনিয়র অফিসারেরই ছয় মাসের বেশি চাকরি বাকি ছিল, যা বাধ্যতামূলক যোগ্যতা। এরপর জুলাই ২০২৫-এ রাজ্য সরকার ১০ জন যোগ্য আইপিএস অফিসারের নাম ইউপিএসসি-তে পাঠায়, যাঁদের সকলেরই ছ' মাসের বেশি সার্ভিস ছিল।
কিন্তু ৩০ অক্টোবর ২০২৫-এর বৈঠকে ইউপিএসসি যুক্তি দেখায় যে, বৈঠকের দিনে তিনজন অফিসারের আর ছ' মাসের চাকরি অবশিষ্ট নেই, তাই তাঁদের বাদ দেওয়া হয়। পরে বেশি Residual service–যুক্ত অফিসারদের নাম সুপারিশ করা হয়। অভিযোগকারী আইপিএস রাজেশ কুমারের দাবি, এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক এবং অযৌক্তিক।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, রাজেশের পুলিশি কেরিয়ার
প্রোবেশনার (Probationer) — ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩
এএসপি (ASP) — ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪
অতিরিক্ত এসপি (Addl. SP) — ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮
এসপি (SP) — ১৯৯৮ থেকে ২০০৫
ডিআইজি (DIG) — ২০০৫ থেকে ২০০৭
আইজিপি (IGP) — ২০০৭ থেকে ২০১৪
এডিজি (ADG) — ২০১৪ থেকে বর্তমান
এখন তিনি প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি লাইব্রেরি ও মাস এডুকেশন দফতরে কর্মরত। তাঁর চাকরির মেয়াদ রয়েছে মাস তিনেকের মতো। শীর্ষ এই আইপিএস-এর পুরস্কারের তালিকায় রয়েছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ মেডেল।