রাখির দিনে রক্তাক্ত কোচবিহার, শুটআউটে মৃত্যু তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের |
ফর্মে কেষ্ট, ‘মর্যাদা’ ফিরে পেতেই বৈঠকের ডাক! তারপর করলেন বড় ঘোষণা
ফর্মে কেষ্ট, ‘মর্যাদা’ ফিরে পেতেই বৈঠকের ডাক!
জেল ফেরত। তারপর আইসি-কাণ্ড সব মিলিয়ে বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রতর ‘অঙ্কটা’ অনেকটাই গরমিল হয়ে গিয়েছিল। প্রভাব যায়নি, তবে ওয়াকিবহাল মহল বলে, অন্যরা নিজের জমি তৈরি করে ফেলেছিল। এই অনুব্রত এক সময় ছিলেন বীরভূমের কোর কমিটির জেলা সভাপতি। মাঝে অনেকটাই পর্ব কেটেছে ‘শূন্য হাতে’। তারপর আবার স্বমহিমা ফিরেছে ‘কেষ্টদা’। হাসি মুখে হয়েছেন কোর কমিটির আহ্বায়ক।
‘মর্যাদা’ ফিরে পেয়ে সপ্তাহ কাটেনি। তার আগেই আহ্বায়ক হওয়ার পর রবিবার প্রথমবার কোর কমিটির বৈঠক ডাকলেন অনুব্রত। সময় ধার্য করা হয় দুপুর সাড়ে তিনটে। ঘড়ির কাঁটা ধরেই বৈঠকে পৌঁছে যান কোর কমিটি সকল সদস্যরা। দেখা যায় তৃণমূল কার্যালয়ে এক বিরাট টেবিল সামনে নিয়ে বসে রয়েছেন কেষ্ট। দুই পাশে সাজিয়ে রাখা চেয়ার। তাতে বসে কাজল-শতাব্দী-আশিসরা।
বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হল?
কোর কমিটির সদস্যরা মুখোমুখি বসার আগেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল যে সফরে এসে মমতার ছেড়ে যাওয়া বার্তা নিয়েই সেখানেও আলোচনা হবে। স্বাভাবিক নিয়মে তেমনটাই হয়েছে। এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত বলেন, “আমার পাড়ায়, আমার সমাধান ও ভাষা আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি সোমবার বিকাল ৪টের সময় গোটা বীরভূমে ধিক্কার মিছিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
কী কারণে এই মিছিল? কেষ্ট বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কালি দেবে, ধিক্কার মিছিল তো হবেই।” উল্লেখ্য, শনিবারই এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন কেষ্ট। মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কালি লাগানো নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। কেষ্ট বলেছিলেন, “আমরাও আগে বিরোধী ছিলাম। কখনও কারওর ছবিতে কালি লাগাইনি। বিজেপির ছবিতেও কালি লাগাই না। এটা ভদ্রতা নয়।” এবার সেই ইস্যুকেই কেন্দ্র করে মিছিলের ডাক ‘বীরভূমের বাঘের’।