ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাবই পড়ছে না
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় দিতয়া ইতিমধ্যেই উপকূলের কাছাকাছি এসে গিয়েছে। উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে সেটা ক্রমশ তামিলনাড়ু পুদুচেরি উপকূলের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। তবে এর সরাসরি কোনও প্রভাব বাংলার উপর থাকছে না। তেমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তবে হাওয়ার গতি কিছুটা বদলে যাওয়াতে তাপমাত্রার সামান্য তারতম্য দেখা যাচ্ছে। ঠান্ডার প্রভাব না কমলেও জাঁকিয়ে শীত কবে থেকে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।
হাওয়া অফিসের কর্তাদের বড় অংশের মতে বাংলায় শীতের নেপথ্যে বড় প্রভাব থাকে উত্তর-পশ্চিম ভারতের আবহাওয়ার। সেখানে ঠান্ডার দাপট বাড়লে সেখানে থেকে উত্তুরে বাতাসের হাত ধরে ঠান্ডার কামড় বাড়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ভারতের বড় অংশে। বর্তামানে উত্তর-পশ্চিম ভারতে ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে আসা ঠান্ডা, ভারী বাতাস মানে ওই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এসেছে পাকিস্তানের দিকে। তার প্রভাবে এই সমস্ত এলাকায় বৃষ্টি, কুয়াশা তো থাকছেই সঙ্গে তুষারপাতও হতে পারে। ওই ঝঞ্ঝার প্রকোপ কাটলেই সেখান থেকে ঠান্ডা বাতাস আসতে পারে বাংলার দিকে। পরিস্থিতি দিকে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন বাংলায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে পড়তে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ গড়িয়ে যেতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, বর্তমানে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি থাকবে। সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রার পরিবর্তনের সম্ভাবনা অনেকটাই কম। তবে মঙ্গলবার থেকে ফের ধীরে ধীরে নামতে শুরু করবে তাপমাত্রা। দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পারাপতন হতে পারে। আগামী শুক্রবার নাগাদ কলকাতার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে। পশ্চিমের জেলায় তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে।
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও আপাতত বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস থাকছে না। হাওয়া মোটের উপর শুষ্কই। দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। মালদাতে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।