বিজেপি সাংসদের নিরাপত্তা বাড়াল কেন্দ্র
কীভাবে তাঁর উপর হামলা হয়েছিল? তাঁকে কি খুন করার চক্রান্ত ছিল? হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মুখ খুললেন মালদহ উত্তরের আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর তাঁকে দেখতে যাওয়া নিয়েও মুখ খুললেন। এত দেরিতে কেন গ্রেফতার সেই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। এদিকে, হামলার পর খগেন মুর্মুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এক্স ক্যাটেগরি থেকে বাড়িয়ে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরি করল কেন্দ্রীয় সরকার।
বন্যা বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হন খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। আগের থেকে কিছুটা সুস্থ রয়েছেন তিনি। সেদিন কীভাবে তাঁদের উপর হামলা হয়েছিল? বিজেপি বিধায়ক বলেন, “যারা হামলা চালিয়েছিল, তারা টিএমসির গুন্ডা। বলেছিল, আমরা দিদির লোক। কোনও প্রয়োজন নেই বিজেপির। যান এখান থেকে। আমরা কোনওরকমে গাড়িতে উঠে পড়েছিলাম। ওরা দরজা খোলার চেষ্টা করেছিল। পারেনি। তখন ইট দিয়ে গাড়ির কাচ ভাঙে। ইট এসে লাগে।” তাঁকে খুনের চক্রান্ত ছিল বলে অভিযোগ তুলে মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ বলেন, “যদি গাড়ি থেকে টেনে নামাতে পারত, তবে আমাদের মেরে ফেলত।”
তিনদিন পর কেন গ্রেফতার, সেই প্রশ্নও তুলছেন আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁর সুগারের সমস্যার কথা জানতে চেয়েছিলেন। এই নিয়ে এদিন খগেন প্রশ্ন তোলেন, ডায়াবিটিকের সঙ্গে তাঁর এই আক্রান্ত হওয়ার কী সম্পর্ক? মুখ্যমন্ত্রী নাটক করতে এসেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, “মানুষকে দেখাতে এসেছিলেন, দেখুন আমি দেখতে এসেছি।” সুস্থ হলে তিনি ওই জায়গায় ফের যাবেন কি না, জানতে চাওয়া হলে বিজেপি এই সাংসদ বলেন, “বিজেপি রাষ্ট্রবাদী দল। আমরা রাস্তায় ছিলাম, আছি, থাকব।”
সরব হয়েছেন খগেনের পরিবারও। এফআইআর-এ যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের গ্রেফতার না করার অভিযোগ তুলে এবং যথার্থ তদন্তের আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে যাওয়ার কথা জানালেন তাঁর পরিবার। খগেনের পুত্র অনিমেশ মুর্মু আবার বলেন, আদিবাসী সমাজে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন বলেই খুনের চেষ্টা করা হয় তাঁর বাবাকে। তিনি বলেন, “পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। এর আগেও হামলার চেষ্টা হয়েছে। তাই ছক করেই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে উপস্থিত ছিল দুষ্কৃতীরা। আদিবাসী সমাজে ক্রমশ জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠেছিলেন বলেই খুনের চেষ্টা করা হয়।” তাঁর বাবাকে মুখ্যমন্ত্রীর দেখতে যাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন অনিমেশ। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে গিয়েছিলেন বলে তিনি দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে রোজ যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। শারীরিক পরিস্থিতি কেমন, তা জানানো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে। যারা বিজেপি সাংসদের উপর হামলা চালিয়েছে, তারা জেহাদি বলে খগেন-পুত্রের অভিযোগ।