ফুটবল খেলা নিয়ে বচসা, শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা |
গঙ্গাকে দূষণমুক্ত রাখতে ১১০ কিমি নদীপথে নৌযাত্রা
গঙ্গা দূষণ মুক্ত
গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার বার্তা ছড়াতে ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীপথে বিশেষ অভিযানে নামল কলকাতার বেসরকারি সংস্থা দি ইন্সটিটিউট অব এক্সপ্লোরেশন। শনিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বসুন্ধরা ঘাট থেকে নিজস্ব তৈরি র্যাফটে যাত্রা শুরু করেন ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। নদীপথে ভেসে চলার পাশাপাশি নদী সাফাই এবং সচেতনতা প্রচার চালান তারা।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযানের মূল উদ্দেশ্য গঙ্গার তীরবর্তী মানুষদের মধ্যে দূষণমুক্ত নদীর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা। নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধিক ঘাটে তারা নদী পরিষ্কারের কাজও করেন। ২৪ ঘণ্টার টানা নদীপথ পাড়ি শেষে রবিবার দুপুরে কাটোয়ার শাঁখাই ফেরিঘাটে এসে শেষ হয় এই অভিযান।
দলনেতা সুনামজিৎ ওঝা বলেন, “শহরের কারখানা, নিকাশি নালা ও গ্রামাঞ্চল থেকে বর্জ্য পড়ার কারণে গঙ্গার জল ভয়ানক দূষিত হচ্ছে। এতে জলজ প্রাণীদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠেছে। এমনকি কৃষিকাজেও গঙ্গার জল এখন বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াচ্ছে।”
প্রতিনিধি দলের একমাত্র মহিলা সদস্য সগুফা আলি জানান, “অভিযানের সময় রাতে আমরা প্রচুর গাঙ্গেয় ডলফিন দেখতে পেয়েছি। এটি প্রমাণ করে দূষণ পুরোপুরি গঙ্গাকে গ্রাস করেনি। চেষ্টা করলে আমরা গঙ্গাকে দূষণমুক্ত রাখতে পারব।”
অন্য এক সদস্য সুরজিৎ বারিক বলেন, “গঙ্গাকে রক্ষায় সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন। নদীর তীরবর্তী গ্রাম ও শহরে আমরা প্রচার করেছি। আমাদের সচেতনতামূলক নৌযান দেখতে প্রচুর মানুষ নদীপাড়ে ভিড় জমিয়েছিলেন। স্থানীয়রাও গঙ্গাকে রক্ষা করার অঙ্গীকার করেছেন।”
গঙ্গার অস্তিত্বই পরিবেশের ভারসাম্যের প্রতীক—এই বার্তা নিয়েই গঙ্গার বুক চিরে এগিয়ে চলেছিল এই অনন্য সচেতনতামূলক যাত্রা।