You will be redirected to an external website

রাতে বাড়ি ফেরার পথে বিপত্তী, ঘাটালে উদ্ধার পরিবহণ কর্মীর দেহ

Body of transport worker found dead on way home at night, body found in Ghatal

জমা জলে বিপর্যস্ত ঘাটাল

চতুর্দিক জলে ভাসছে। তার মাঝেই রাতে কষ্ট করে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। তা সত্ত্বেও রাতভর বাড়ি ফিরতে পারেননি। নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের তরফে এনডিআরএফ-কে খবর দেওয়া হয়। সকালে সেই পরিবহণ কর্মীর দেহ উদ্ধার। পরিবারের লোকজনের দাবি, প্লাবনের জলই প্রাণ কেড়েছে তাঁর।

নিহত রাজীব সিংহ রায়। ঘাটালের শ্যামপুর এলাকার অজবনগর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পেশায় পরিবহণ কর্মী। পরিবার সূত্রে খবর, প্রতিদিন কাজ সেরে বেশ কিছুটা দেরি হয়ে যায় তাঁর। বৃহস্পতিবার কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। মাঝপথে প্লাবনে জলে পড়ে যান। কারও কারও দাবি, সাঁতার জানতেন না তিনি। তাই ডুবে যান। এনডিআরএফের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শুক্রবার সকালে শ্যামপুর এলাকায় তাঁর দেহ ভেসে ওঠে। পরিবারের সদস্যরা দেহ শনাক্ত করে। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্ষার শুরু থেকে টানা বৃষ্টিতে ভাসছে ঘাটাল। প্লাবিত ঘাটাল পুরসভার ১২টি ওয়ার্ড ও একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে বলেই আশা স্থানীয়দের।

বলে রাখা ভালো, ঘাটাল মূলত শীলাবতী, কংসাবতী এবং দ্বারকেশ্বর নদের শাখা নদী ঝুমির লীলাভূমি হিসাবে পরিচিত। তখনকার আমলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলস্বরূপ স্থানীয় ভূস্বামীরা এই নদীগুলির বন্যা ঠেকাতে সার্কিট বাঁধ দিয়ে নিজেদের জমিদারিতে নিচু এলাকাগুলিকে বন্যা থেকে বাঁচিয়ে আবাদি জমি বাড়ানোর উদ্যোগ নেন। সেই জমিদারি জমানা আর নেই। কিন্তু জমিদারি বাঁধগুলি আজও রয়ে গিয়েছে। এই জমিদারি বাঁধগুলি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। তার ফলে বাঁধগুলি ভেঙেই মূলত ঘাটাল এলাকায় বন্যা দেখা দেয় ফি বছর। উলটোদিকে জোয়ারের সঙ্গে আসা পলি নদী বাঁধ উপচে ছড়িয়ে পড়তে না পেরে নদীতেই জমতে থাকে পলি মাটি।

ফলে নদীর জলধারণ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আর ফি বছর বন্যা প্রবণতাও বাড়তে থাকে। এই সমস্যা মেটাতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ভাবনা। কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হয়নি বলেই অভিযোগ। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ভোটের আগে রাজ্যের তরফে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয়। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আর বানভাসি হতে হবে না ঘাটালবাসীকে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে আরামবাগে দেবকে পাশে বসিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেন, রাজ্য সরকারের টাকায় তা বাস্তবায়িত করে। দেবের ‘আবদার’ মেনে ওই টাকা দেওয়া হবে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই অনুযায়ী ধাপে ধাপে এগোচ্ছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ।

AUTHOR :Sukanya Majumder

Sukanya Majumdar is a Copywriter and Social Media Desk Personnel at Express News. She holds a Bachelor's degree in Mass Communication from Burdwan University and a Diploma in Media Science from MAKAUT. Additionally, she has completed practical training in News Reading and Copy Editing from Fox Media School. With a strong foundation in both traditional and digital media, Sukanya brings clarity, creativity, and precision to every piece of content she crafts.

মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল! মান্ডিতে হাড়পা বানে তলিয়ে গেল বাড়ি, নিখোঁজ বহু, সরকারের হিসেব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ২৩ জন Read Previous

মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্য...

Despite the monsoon, Padma hilsa is not available in the market, leaving food lovers upset. Read Next

বর্ষা এলেও বাজারে নেই পদ...