৪ মাস পুরনো বিজ্ঞপ্তি', অপপ্রচার বলছেন অভিষেক
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিএলও (BLO), ইআরও-দের (ERO) বর্ধিত ভাতা আটকে রাখার অভিযোগ এনেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। এই নিয়েই সরগরম বাংলার রাজনৈতিক মহল। এবার বিজেপি ও কমিশনকে একযোগে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লিখেছেন, কমিশনের জারি করা চার মাস পুরনো সরকারি নির্দেশিকা ঘুরিয়ে আবার প্রচার করে ভুয়ো উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। এটি আসলে তাদের অপপ্রচার। তাঁর দাবি, এতে স্পষ্ট, বিজেপির নির্বাচনী কৌশল এসআইআর (SIR) শুধু ব্যর্থই হয়নি, প্রকাশ্যে ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে এসআইআর-এর পর্দাফাঁস হয়ে গেছে।
আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে (2026 Assembly Election) বাংলায় ফের হারের মুখ দেখতে হবে বিজেপিকে। এই দাবি করেই অভিষেক তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ইডি (ED), সিবিআই (CBI), আয়কর দফতর, কেন্দ্রীয় বাহিনী, এমনকি বিচারব্যবস্থার একাংশ- সবকিছু ব্যবহার করেও বিজেপি বুঝে গিয়েছে যে, বাংলায় তারা আবারও পরাজিত হবে। ২০২১-এর চেয়েও বড় ব্যবধানে রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল-এই ধারণা তাদের মনে ভয় ধরিয়েছে।
বাংলার এসআইআর (SIR in West Bengal) প্রক্রিয়া নিয়ে নানা অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। সেই ইস্যুতে শুক্রবার দেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Election commission of India) জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে দেখা করেছিল দলের ১০ সদস্যদের প্রতিনিধিরা।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে অবশ্য ক্ষোভই উগরে দিয়েছিলেন তাঁরা। অভিযোগ ছিল, এসআইআর আবহে বিএলও-দের মৃত্যুর (BLO Death) জন্য কমিশন দায়ী। জ্ঞানেশ কুমারের হাতে রক্ত লেগে আছে! শনিবার আবার সাংবাদিক বৈঠক করে কমিশনের কাছে বড় দাবি করে তৃণমূল।
এই বৈঠকের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee) লাইভ স্ট্রিম-এর (Live Stream) দাবি তুলেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই সেই দাবি মানেনি কমিশন। তবে বৈঠকের পর শুক্রবার রাতে অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, “কমিশনের যদি গোপন করার কিছু না-থাকে, তবে বৈঠকের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) প্রকাশ করা যাবে না কেন?” শনিবার সেই অবস্থান আরও জোরালো হল বৈঠকের কথোপকথনের প্রতিলিপি প্রকাশের দাবিতে।