‘ঘরের মেয়ের’ পা ছুঁয়ে প্রণাম বৃদ্ধের
দুই নেতার অশান্তিতে জোটেনি আবাস যোজনার ঘর (Abas Yojona House)। সমস্যা জানাতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ই (CM's convoy) থামালেন জলপাইগুড়ির এক প্রবীণ নাগরিক (Jalpaiguri)। আর তাঁকে দেখে মুখে হাসি ছড়িয়ে নিজেই খোঁজ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—“সমস্যার সমাধান হয়েছে তো?”
ঘটনাটি জলপাইগুড়ির। বুধবার সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পথে একজন বৃদ্ধ হঠাৎ কনভয়ের সামনে এসে দাঁড়ান।
তিনি রাজেন রায়, স্থানীয় বাসিন্দা। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরাসরি অন্য একটি সমস্যা জানিয়ে সমাধান পেয়েছেন। তাই ফের ভরসা রেখেই এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে থামান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীও চিনে ফেলেন রাজেনবাবুকে। কাছে এসে হাতজোড় করে বলেন, “সমস্যা মিটেছে তো?” সঙ্গে সঙ্গেই রাজেনবাবু জানান, এবার তাঁর সমস্যা আবাস যোজনার ঘর পাওয়া নিয়ে। তাঁর অভিযোগ, এলাকার দুই নেতা—খগেশ্বর রায় ও কৃষ্ণ দাসের মধ্যে টানাপোড়েনের জেরে তিনি ঘর পাচ্ছেন না। বহুবার জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই এবার ‘ঘরের মেয়ে’র দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
সবটা মন দিয়ে শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস দেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন সরাসরি আশ্বাস পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বৃদ্ধ। রাস্তার মাঝেই পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ক। আশায় বুক বাঁধছেন তিনি, এবার হয়তো ঘর মিলবেই।
ওই দৃশ্য ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চর্চা। মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক মুখ এবং সাধারণ মানুষের সমস্যা শোনার এই ভঙ্গিমা আবারও মন জয় করেছে বহু মানুষের।