শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা, ভাঙল গাড়ির কাচ, স্লোগান-কালো পতাকা |
নাগাড়ে বৃষ্টি সমস্ত সবজি খেত জলের তলায়, সবজি কিনতে পকেটে ছ্যাঁকা মধ্যবিত্তের
বাজারে সবজির দাম তুঙ্গে
একে তো সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা। আবার তার উপর নিম্নচাপ। জোড়া ফলায় চলতি বছর প্রায় শুরু থেকেই হাঁকিয়ে ব্যাটিং করছে বর্ষা। তার ফলে জলের তলায় চাষের জমি। মাঠের ফসল মাঠেই শেষ। তার ফলে হু হু করে বাড়ছে শাকসবজির দাম। তা সে কলকাতার বাজার হোক কিংবা জেলা। স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত মধ্যবিত্তের।
আলু, পিঁয়াজের দাম একই রয়েছে। তবে অন্যান্য শাকসবজির দাম বেড়েছে। ফুলকপি বেড়ে হয়েছে ৫০-৬০ টাকা। পটলের দাম ৪০-৫০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০-৮০ টাকা। কেজি প্রতি উচ্ছে, কাঁকরোল, শশা, ঢ্যাঁড়শ, টমেটোর দাম বেড়ে হয়েছে ৮০-১০০ টাকা। লাউ বিকোচ্ছে ৪০ টাকা দরে। লঙ্কা ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মধ্যবিত্তের দাবি, সবজি ছাড়া সংসার চলে না। নিত্যদিনের খাওয়াদাওয়ার জন্য সবজি খুবই প্রয়োজনীয়। এত দাম বাড়লে সবজি কেনাই দায়। যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, একে তো বেশিরভাগ সবজি মাঠেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার উপর আবার বিভিন্ন রাস্তাঘাটে জমা জলের প্রভাবে সবজি বাজারে আনার খরচ বেড়েছে। সবমিলিয়ে বাজারে সবজির দামও বেড়েছে।
কলকাতা-সহ রাজ্যের সব জেলায় কলকাতা পুরসভা, জেলা প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের সমন্বয়ে তৈরি টাস্ক ফোর্স নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করে। উদ্দেশ্য একটাই, সবজির জোগান এবং দাম স্থিতিশীল রাখা। আমজনতাকে মূল্যবৃদ্ধির ছ্যাঁকা থেকে বাঁচাতে যেমন সুফল বাংলায় সস্তায় ফল-সবজি বিকোচ্ছে রাজ্য সরকার, পাশাপাশি কৃষক যাতে উপযুক্ত দাম থেকে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য সরাসরি কৃষকদের থেকে সবজি, ফল সংগ্রহ করার প্রক্রিয়াও জোরদার করা হয়েছে। তবে খারাপ আবহাওয়ার ফলে সবজির দাম বৃদ্ধিতে জেরবার আমজনতা।