বাংলাদেশি শান্তার আধারে বর্ধমানের গোপালপুরের ঠিকানা
ধৃত বাংলাদেশি মডেল-অভিনেত্রী শান্তা পালের কাছে মিলেছে ভারতীয় আধার কার্ড। আর তাতে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ঠিকানা। পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপাল পুর গ্রামের রাজডাঙা- এটাই ঠিকানা। আধার কার্ডের ঠিকানায় লেখা আছে শান্তা পাল, গ্রাম গোপালপুর, রাজডাঙা, প্রযত্নে স্বপন পাল। ২০২০ সালে সেই আধার কার্ড ইস্যু হয়।
দক্ষিণ কলকাতার বিক্রমগড়ের ফ্ল্যাট থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় শান্তা পাল নামে ওই অভিনেত্রীকে। গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দারা শান্তা পালের নাম শুনেই বলছেন, ওই নামে কোনও মহিলাকে তাঁরা চেনেন না। রাজডাঙা পাড়ায় মূলত তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষজনের বসবাস। একই কথা বলেন বড়শুল ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান রমেশচন্দ্র সরকারও। তিনি বলেন, “এই নামে তাঁদের পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও নাম নেই ভোটার কার্ডে। এটি পুরোপুরি ভুয়ো ঠিকানা।“
পার্কস্ট্রিট থানার পুলিশ যাদবপুর থানা এলাকা থেকে এদিন গ্রেফতার করে এই বাংলাদেশি মহিলাকে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভারতের ভোটার, আধার কার্ড। অথচ পেশায় তিনি বাংলাদেশের মডেল। কীভাবে তাঁর কাছে ভারতের আধার-ভোটার গেল? সেগুলি কি আদৌ বৈধ? সেই নিয়েই শুরু হয়েছে তদন্ত।
অ্যাপ ক্যাবের ব্যবসা করতে গিয়েই পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন অভিযুক্ত এই মহিলা। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সাল থেকে যাদবপুরের বিজয়গড়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন তিনি। তবে বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন-ভিন্ন ঠিকানা দিয়ে থাকতেন তিনি। ধৃতের কাছ থেকে একাধিক বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। বাংলাদেশের মাধ্যমিকস্তরের অ্যাডমিট কার্ডও পাওয়া গিয়েছে। এমনকী বিমানসংস্থার আইডি কার্ডও পেয়েছে পুলিশ।