পন্থকে দিল্লিতে ডেকে সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে দেবেন না তিনি। রাজ্যের চার অফিসার সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর এমনটাই বলেছিলেন মমতা। তবে বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ডেকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে। আগামী ২১ অগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।
রাজ্যের দুই ইআরও (ERO), দুই এইআরও(AERO) ও এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে ভোটার লিস্টে ভুয়ো নাম তোলার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, অফিসাররা তাঁদের আইডি শেয়ার করেছেন অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করা ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের সঙ্গে। তাঁদের সাসপেন্ড করার ও তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সুপারিশ করে কমিশন। সেই ব্যবস্থা না হওয়ায় বুধবার পন্থকে তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে।
বারুইপুর পূর্বের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী, ওই কেন্দ্রের AERO তথাগত মণ্ডল, আর ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার এবং ওই কেন্দ্রের AERO সুদীপ্ত দাসের বিরুদ্ধে ওঠে অভিযোগ। এছাড়া, সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধেও এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
গত সোমবার রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, AERO সুদীপ্ত দাস ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদারকে কমিশনের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কারও বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়নি, কাউকে সাসপেন্ডও করা হয়নি। চিঠিতে আরও বলা হয় যে, এই সব অফিসারদের কাজের ক্ষেত্রে অনেক বেশি চাপ থাকে, তাই কর্মীদের সঙ্গে আইডি শেয়ার করে থাকেন।
সূত্রের খবর, কমিশনের দেওয়া চিঠির নির্দেশ কেন কার্যকর হয়নি, সেই নিয়ে এদিন ফুল বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে। চার অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কমিশনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার এখনও কী কী পদক্ষেপ করেছে তা রিপোর্ট-সহ তুলে ধরতে হয়েছে মুখ্যসচিবকে। বৈঠকে উঠে এসেছে আইনি এক্তিয়ার সংক্রান্ত ইস্যুও।
এসআইআর প্রত্যেকটা রাজ্যে বাস্তবায়ন করতে কমিশন যে বদ্ধপরিকর, তাও এদিন বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবকে। কমিশন ব্যাখ্যা করেছে যে এ ক্ষেত্রে আইনি এক্তিয়ারের মধ্যেই পুরো কাজ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, নির্বাচন বিধি লাগু না হতেই রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।