উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি নিয়ে নাকাল মানুষ, ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ জনজীবন। জায়গায় জায়গায় জমে থাকা জল বাড়াচ্ছে অস্বস্তি। তার ওপর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত চিন্তায় ফেলছে পরিবেশবিদদের। এই পরিস্থিতিতে কী জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর?
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এখন মৌসুমী অক্ষরেখা বর্তমানে হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মধ্য বাংলাদেশে সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ দিকে ঝুঁকে রয়েছে। উত্তর-পূর্ব আসাম ও সংলগ্ন অরুণাচল প্রদেশে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে। এছাড়া হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড সীমান্তেও রয়েছে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব।
আজ কলকাতা শহরে মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে, সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে দু-এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ ৩০–৪০ কিমি হতে পারে।
আগামীকাল থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে, তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে এবং আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তি আরও বৃদ্ধি পাবে।
আজ পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে, সাথে বজ্রবিদ্যুৎ ও ৩০–৪০ কিমি বেগের দমকা হাওয়া বইতে পারে।
আগামীকালও বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে একই গতি-বেগের দমকা হাওয়ার সঙ্গে। ঝড়ের সম্ভাবনা বেশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের কিছু অংশে।
রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও মঙ্গলবার ও বুধবার অধিকাংশ জেলাতেই দু-এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা দুটোই কিছুটা বাড়বে, ফলে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
কী বলছে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি?
আগামী তিন দিন দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে। সোমবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, দার্জিলিং ও আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে, কোচবিহারে হবে ভারী বৃষ্টি। মঙ্গলবার ও বুধবারও একই পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।
জারি হয়েছে সতর্কতাও। তিস্তা, তোর্সা ও জলঢাকা নদীর জলস্তর বাড়তে পারে। নিচু এলাকা ও নদী সংলগ্ন অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। দার্জিলিং ও কালিম্পং-এর পার্বত্য এলাকায় এবং সিকিমে ধসের সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক করেছে প্রশাসন।