লাল সতর্কতা জারি তিস্তায়, রাস্তায় বইছে নদীর জল! ভূমিধসে অবরুদ্ধ সেবক |
পুজোর দিনগুলিতে বাড়িতে নিরামিষ? দুপুরের ভোজে বানিয়ে ফেলুন ঠাকুরবাড়ি স্পেশ্যাল পোস্তর দম
বানিয়ে ফেলুন ঠাকুরবাড়ি স্পেশ্যাল পোস্তর দম
দুর্গাপুজো আর পেটপুজো, এই দু'টিকে পরস্পরের থেকে আলাদা করা কঠিন। পুজোর ক’দিন ঘরে-বাইরে চলতে থাকে জমিয়ে ভূরিভোজের পর্ব। পাত পেড়ে বাঙালি থালি হোক বা বিরিয়ানি, জাপানিজ় হোক বা চাইনিজ়, বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টি, রকমারি পানীয়– কিছুই বাদ পড়ে না এই দিনগুলোয়। সারা দিন ঘোরাঘুরির পর অনেকেই বাইরে খেতে পছন্দ করেন না। আবার পুজোয় রেস্তরাঁগুলির সামনে লম্বা লাইন দেখে অনেকেরই খিদে মরে যায়। তখন বাড়িতে এসে খাওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। তাই পুজোর ক’দিন বাড়িতে ভালমন্দ কিছু না রাঁধলেই নয়। খুব বেশি সময় খরচ না করেই সুস্বাদু কী পদ বানানো যায়, ভাবছেন? দুর্গাপুজোর ক’দিন ঠাকুরবাড়ির মাছ, মাংস কিংবা নিরামিষ পদ দিয়েই সারতে পারেন ভূরিভোজ। চটজলদি আর অল্প উপকরণেই বানিয়ে ফেলা যায় ঠাকুরবাড়ির রকমারি পদ। পুজোর ভোজের মেনুতে রাখতে পারেন ঠাকুরবাড়ি স্পেশ্যাল পোস্তর দম।
উপকরণ:
২০০ গ্রাম পোস্ত
২টি আলু (মাঝারি মাপে ডুমো করে কাটা)
আধ কাপ পেঁয়াজবাটা
২ চা চামচ আদাবাটা
২ চা চামচ জিরেগুঁড়ো
২ চা চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ ঘি
আধ চা চামচ গরমমশলাগুঁড়ো
স্বাদমতো নুন, চিনি
পরিমাণ মতো সর্ষের তেল
২ টেবিল চামচ বেসন
প্রণালী:
একটি পাত্রে পোস্তবাটা, পেঁয়াজবাটা, জিরেগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, সামান্য বেসন আর স্বাদ অনুযায়ী নুন দিয়ে মিশ্রণটি ভাল করে মেখে নিন। এ বার কড়াইতে বেশ খানিকটা সর্ষের তেল গরম করে পোস্তর বড়াগুলি লালচে করে ভেজে নিন। বড়াগুলি ভাজতে অসুবিধা হলে মিশ্রণে খানিকটা বেসন আরও দিতে পারেন। এ বার কড়াই থেকে খানিকটা তেল তুলে নিয়ে আলুগুলি লালচে করে ভেজে তুলে রাখুন। এ বার ওই তেলেই পেঁয়াজবাটা আর আদাবাটা দিয়ে ভাল করে ভেজে নিন। মশলার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে সব রকম গুঁড়োমশলা আর নুন, চিনি দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে খানিকটা জল দিয়ে ঝোল ফুটতে দিন। ঝোল ফুটে উঠলে বড়াগুলি দিয়ে মিনিট পাঁচেক ঢিমে আঁচে রান্না করুন। শেষে ঘি আর গরমমশলা ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন পোস্তর দম।