বোসকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়ানোর শলা হুমায়ুনের
আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) শিলান্যাস কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। এই কর্মসূচির ঘোষণা করে প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ রাজ্যকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor Anand Bose)। আর সেই নির্দেশের জবাবে আনন্দ বোসের উদ্দেশে তীব্র রাজনৈতিক ইঙ্গিত ছুড়ে দিলেন হুমায়ুন।
বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক সরাসরি প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে। হুমায়ুনের কথায়, “আইন আইনের মতো চলবে। আমি যদি আইন ভাঙি তা হলে ব্যবস্থা হোক। কিন্তু রাজ্যপাল যা করছেন, তা কি গর্ভনরের কাজ?” এর পরই একের পর এক অভিযোগের তোপ—জিয়াগঞ্জে গায়ক অরিজিতের বাড়ি যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “গালর্স কলেজে গিয়ে মহিলার সঙ্গে গল্প-মস্তি করছেন, সেই স্কুলের জন্য আবার ২ লক্ষ টাকা দিচ্ছেন—এটা কি গর্ভনরের কাজ? দিলে সব স্কুলকে দিন। আমাদের ট্যাক্সের টাকায় ঘুরে বেড়াবেন কেন?”
সরাসরি কটাক্ষ ছুড়ে হুমায়ুনের মন্তব্য, “যদি এতই ইচ্ছা থাকে, তা হলে গর্ভনর পদে বসে থাকবেন না, ইস্তফা দিন। বিজেপির পদ্মফুল হাতে নিয়ে ভোটে নামুন।”
তৃণমূল বিধায়কের দাবি, তাঁর উদ্যোগে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বাধা দিতেই প্রশাসনিক চাপ বাড়ানো হচ্ছে। যার জবাবে জাতীয় সড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি, এমনকি এসডিপিও-র ‘কলার ধরা’র হুমকিও দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে।
এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যপাল চিঠি দিয়ে রাজ্যকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন—হুমায়ুনের মন্তব্যে আইনশৃঙ্খলা অবনতি আশঙ্কা থাকলে ‘প্রিভেনটিভ অ্যারেস্ট’ করতেই হবে। রাজ্য প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ তিনিই করবেন বলেও সতর্কতা।
এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। তৃণমূল বিধায়কের তীব্র আক্রমণের জবাবে রাজভবন কী পদক্ষেপ করে—সেই দিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।