মহালয়ার আগে মাতৃমূর্তি উদ্বোধন করি না
মহালয়ার আগের দিনেই শারদ উৎসবের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার হাতিবাগান সর্বজনীন পুজোর প্যান্ডেল উদ্বোধন করলেন তিনি। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, 'মহালয়া থেকেই মাতৃমূর্তির উদ্বোধন করেন, তার আগে কেবল প্যান্ডেলের উদ্বোধন হয়।'
এদিন বৃষ্টি মাথায় নিয়েই হাতিবাগান সর্বজনীনের পুজো প্যান্ডেলে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক অতীন ঘোষও। উদ্বোধনের আগেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আমি কেবল মণ্ডলের উদ্বোধন করছি।'
গত কয়েকবছর ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মহালয়ার (Mahalaya) আগে শহরের একাধিক পুজোর উদ্বোধন করে আসছেন। এবছরও তার ব্যতিক্রম হল না। শনিবার থেকে টানা চার পাঁচদিন ধরে নানা মণ্ডপে প্রদীপ জ্বালাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন হাতিবাগানে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে প্রায় তিন জাহার পুজোর উদ্বোধন করবেন তিনি।
কোন কোন পুজো রয়েছে এই তালিকায়
রবিবার নাকতলা উদয়ন সংঘ, ৯৫ পল্লি, যোধপুর পার্ক, বাবুবাগান এবং চেতলা অগ্রণীর উদ্বোধন হবে। ২২ সেপ্টেম্বর মমতা যাবেন আলিপুর সর্বজনীন, চেতলা কোলাহল গোষ্ঠী, বেহালা নতুন দল, বড়িশা, হরিদেবপুর ৪১ পল্লি, অজেয় সংহতি, বসুপুর তালবাগান, বসুপুর শীতলা মন্দির, গড়িয়াহাট হিন্দুস্থান ক্লাব ও কালীঘাট মিলন সংঘে।
২৩ সেপ্টেম্বরের তালিকা আরও দীর্ঘ। মুদিয়ালি, শিবমন্দির, সমাজসেবী, বালিগঞ্জ কালচারাল, ত্রিধারা, ৬৬ পল্লি, বডামতলা, আদি বালিগঞ্জ, একডালিয়া এবং সিংহী পার্কে উদ্বোধনে হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে পুজোর আগে বাঙালিদের চিন্তা বাড়িয়েছে বৃষ্টি। এদিন মণ্ডপ উদ্বোধনে এসেও সকলকে বৃষ্টিতে না ভেজার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মহালয়ার সকালে আংশিক মেঘলা আকাশ ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। তবে দুপুরের পর থেকেই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। অর্থাৎ পুজোর সময়ে বৃষ্টির ঘনঘটা থাকলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাই শনিবার থেকে পুজো উদ্বোধন হয়ে গেলে অনেক মানুষ আগে থেকে ঠাকুর দেখা শুরু করতে পারবেন।