‘ভারতের সবচেয়ে বড় শত্রু বিদেশ নির্ভরতা!
দেশের সবচেয়ে (India Enemy) বড় শত্রু অন্য কেউ নয়, বরং বিদেশের উপর (Dependency on other Nations) নির্ভরতা। শনিবার ‘সমুদ্র থেকে সমৃদ্ধি’ অনুষ্ঠানে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সাড়ে ৩৪ হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের মঞ্চ থেকে মোদী স্পষ্ট জানালেন, ভারতের সব সমস্যার একমাত্র সমাধান আত্মনির্ভরতা (Self-Reliance)।
মোদীর বক্তব্য, ‘‘আজ ভারতের কোনও বড় শত্রু নেই। বিশ্বভ্রাতৃত্বের মনোভাব নিয়ে দেশ এগোচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রকৃত শত্রু হল বিদেশ নির্ভরতা। এই নির্ভরতা আমাদের সবাইকে মিলে পরাস্ত করতে হবে।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘অন্যের উপর নির্ভরশীলতা যত বাড়বে, দেশের ব্যর্থতাও তত গভীর হবে।’’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৪০ কোটি ভারতীয়ের ভবিষ্যৎ অন্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া যায় না। বিদেশি শক্তির ভরসায় দেশের উন্নয়নের সংকল্পও গড়া যায় না। ‘‘জাতীয় আত্মসম্মান বজায় রাখতে হলে আত্মনির্ভরতা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই,’’ মন্তব্য মোদীর। বলেন, ‘‘শত ব্যাধির এক ওষুধ, তেমনই ভারতের সব সমস্যার একমাত্র সমাধান আত্মনির্ভরতা।’’
মোদীর অভিযোগ, স্বাধীনতার পরে কংগ্রেস সরকার ভারতের যুবসমাজের প্রতিভাকে দমন করেছে। ‘লাইসেন্স রাজ’-এর মতো জটিল নিয়মকানুনের জালে দেশকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘ফলত ছয়-সাত দশক কেটে গেলেও ভারত প্রকৃত সাফল্য পায়নি।’’
গ্লোবালাইজেশনের যুগ এলেও সেই সময়কার সরকার আমদানি নির্ভর নীতি নিয়েছিল, যার ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল, দাবি মোদীর। তাঁর কথায়, ‘‘এই নীতিই ভারতের যুবসমাজের ক্ষতি করেছে, দেশের আসল সম্ভাবনা বিকশিত হতে দেয়নি।’’
একসময় ভারতের সমুদ্র উপকূল জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছিল। সেই ব্যাপারে মোদী বলেন, ‘‘পঞ্চাশ বছর আগেও দেশের আমদানি-রফতানির ৪০ শতাংশই চলত ভারত নির্মিত জাহাজে। আজ তা নেমে এসেছে মাত্র ৫ শতাংশে।’’ তিনি জানান, বর্তমানে বিদেশি শিপিং কোম্পানিগুলিকে পরিষেবার জন্য প্রতিবছর ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা গুনতে হয় ভারতকে।