সরকারি বাংলো ছাড়লেন জগদীপ ধনকড়,
এক মাস আগে হঠাৎই উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদ থেকে সরে গিয়েছিলেন জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। স্বাস্থ্যজনিত কারণে দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকেই জনসমক্ষে আর দেখা যায়নি তাঁকে। এবার দিল্লির সরকারি বাসভবনও (Delhi) ছেড়ে দিলেন (Vacates Official Residence) তিনি। সূত্রের খবর, দক্ষিণ দিল্লির ছত্তরপুর এনক্লেভে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের প্রধান অভয় সিং ছৌটালার ফার্মহাউসেই (Firm House) আপাতত থাকছেন তিনি।
সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন, ২১ জুলাই হঠাৎই উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা (Resign) দেন ধনকড়। দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে সেই সিদ্ধান্ত। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে তিনিই তৃতীয় উপরাষ্ট্রপতি, যিনি পূর্ণ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দায়িত্ব ছেড়েছেন। এর আগে ভি ভি গিরি এবং আর ভেঙ্কটরমন একই কারণে পদত্যাগ করেছিলেন। তবে তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়াই করা। ধনকড় অবশ্য স্পষ্টই বলেছেন— স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতেই এই সিদ্ধান্ত।
অবসর জীবনে বর্তমানে পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন ৭৪ বছরের ধনকড়। সূত্র জানাচ্ছে, টেবিল টেনিস খেলছেন, নিয়মিত যোগব্যায়ামও করছেন। একই সঙ্গে রাজস্থানের প্রাক্তন বিধায়ক হিসেবে নিজের মাসিক পেনশন পুনরায় চালুর আবেদন করেছেন তিনি।
সরকারি হিসাবে, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি ও প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে যেসব ভাতা ও সুবিধা পাওয়ার কথা, তার সঙ্গে রাজস্থান বিধানসভা থেকেও মাসে ৪২ হাজার টাকা পেনশন পাওয়ার অধিকার রয়েছে ধনকড়ের।
তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, খুব শিগগিরই তাঁকে বরাদ্দ করা হবে টাইপ-ভিআইআইআই স্তরের এক সরকারি বাসভবন। তার আগে পর্যন্ত ছৌটালার ফার্মহাউসই তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা।
এদিকে, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর প্রার্থী মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিরোধী শিবিরের মনোনীত প্রার্থী, প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি।
ধনকড়ের হঠাৎ সরে দাঁড়ানো নিয়ে এখনও সরগরম রাজনীতি। বিরোধীরা বারবার প্রশ্ন তুলছে— আদৌ কি শুধুই স্বাস্থ্য-জনিত কারণে পদত্যাগ করেছিলেন ধনকড়, নাকি চাপের মুখেই সরে দাঁড়াতে হয়েছে তাঁকে? এই জল্পনা এখনও থামেনি।
বস্তুত, উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁকে সরকারি বাসভবনের বাইরে দেখা যায়নি। সোমবার সেই ধনকড়কেই সরকারি বাসভবনের বাইরে বেরোতে দেখা যায়। সূত্রে খবর, সোমবার দিল্লির ধৌলা খান এলাকায় সেনা হাসপাতালে দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যান তিনি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছিল, গত ২১ জুলাই ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে সরকারি বাসভবনেই নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেছিলেন রিনি। কেবল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি।