রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা
দ্বন্দ্ব, টানাপোড়েন, চাপানউতোর, বিতর্ক– সবই রয়েছে নিজের জায়গায়। উপরতলা থেকে বারবার এসেছে একযোগে চলার বার্তা। কিন্তু সংঘাতের রেশ যেন কেটেও কাটেনি। রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেও প্রায়শই শোনা যায় চেনা ‘সংঘাত’ নিয়ে ফিসফাস। কিন্তু এরইমধ্যে এবার একই মঞ্চে দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে। আর পাঁচটা ব্লকের মতো দলের নির্দেশে মুরারই এক নম্বর ব্লকেও এদিন বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান ছিল। আর সেখানেই দেখা গেল বীরভূমের দুই ‘তারকাকে’। দেখা গেল বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়কে। তিনি আবার কারও নাম না করেই বললেন, “দল ছাড়া আপনাদের কোন দাম নেই, হিরো থাকতে চাইলে দলের সঙ্গে থাকুন।”
শতাব্দী রায় ছাড়াও জেলার অন্য়ান্য নেতাদেরও এদিন দেখা যায়। তবে পাশাপাশি বসেছিলেন অনুব্রত ও কাজল। তা নিয়েই যত চর্চা। বলতে উঠে অনুব্রত দিলেন একসঙ্গে চলার বার্তা। মঞ্চ থেকে কাজল বললেন বীরভূমের সমস্ত আসনই তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে। তবে সবকিছু মাঝে কারও নাম না করে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যায় শতাব্দী রায়কে। রীতিমতো সুর চড়িয়ে বললেন, “আপনাদের কাছে মানুষ আসে কারণ আপনারা তৃণমূল করেন। দল না থাকলে আপনাদের কোনও দাম নেই। যদি কেউ হিরো থাকতে চান তাহলে দলের সঙ্গে থাকুন। কেউ কেউ বলবেন এই সাংসদকে হারিয়ে দে, কেউ বলবেন বিধায়ককে হারিয়ে দে। এর মাধ্যমে আসলে প্রমাণ হবে আপনি বেইমান। আমরা আমাদের মধ্যে লড়লে দলের ক্ষতি হয়ে যায়। সেই সুযোগ আমরা দেব না।” তারপরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলে উঠলেন, “পথ ভাবে আমি দেব রথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি দেব–হাসে অন্তর্যামী।”
এরইমধ্যে একযোগে চলার বার্তা দিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বললেন, “ছাব্বিশের ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট। ৫ বছরে একবার মমতার ভোট আসে। তাই এই ভোটে বিপুল ভোটে জিততে হবে। কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই। আমরা সবাই একসঙ্গে চলব।” অন্যদিকে কাজলও করলেন মমতা বন্দনা। সঙ্গে তিনিও একযোগে চলার বার্তা দিয়ে বললেন, “২০১১ সাল থেকে মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে এমন পরিবর্তন ঘটিয়েছেন যে মানুষের মনরে মণিকোঠায় পৌঁছে গিয়েছেন। ছাব্বিশের নির্বাচনে আমরা সবাই কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে, পা পা মিলিয়ে কাজ করব। বিরোধীদের বীরভূম জেলা থেকে উৎখাত করব।”