ফুটবল খেলা নিয়ে বচসা, শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা |
'মহুয়া আমাকে শুয়োর বলেছে!' সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন কল্যাণ
সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন কল্যাণ
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা হতেই চিফ হুইপের পদ ছেড়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। সেই নিয়ে যখন চর্চা চলছে ঠিক তখনই সরাসরি মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) নাম না নিয়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদের উদ্দেশে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ।
সোমবার তিনি এক্স-এ লেখেন, "আমি মহুয়া মৈত্রর সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো লক্ষ্য করেছি। এক পাবলিক পডকাস্টে তিনি তাঁর সহ-সाংসদকে 'শুয়োর' পর্যন্ত বলেন। এ ধরনের অবমাননাকর ভাষা গণতান্ত্রিক বাক্সংস্কৃতির প্রতি অবজ্ঞা ছাড়া কিছু নয়।"
কল্যাণ তাঁর দীর্ঘ পোস্টে আরও লেখেন, "যাঁরা গালাগাল দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করেন, তাঁদের উচিত নিজেদের রাজনীতির ধরন নিয়ে আত্মসমালোচনা করা। কারণ কোনও জনপ্রতিনিধি ব্যক্তিগত কটাক্ষ ও অশালীন ইঙ্গিতের আশ্রয় নিলে, তা শক্তির প্রকাশ নয়, তা নিরাপত্তার অভাব।"
এখানেই শেষ নয়। কল্যাণের বক্তব্য, "আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, আমি একজন জনপ্রতিনিধির কাছে জবাবদিহি চেয়েছিলাম। কোনও পুরুষ বা নারী, যে কাউকেই তার সম্মুখীন হতে হতে পারে। তা যদি অস্বস্তিকর বা অপ্রিয় হয়, তাহলেও তা 'নারীবিদ্বেষ' বলে আলোচনা থেকে পালিয়ে যাওয়া চলে না।"
শেষে কল্যাণ আরও লেখেন, "এটি সরাসরি অপমান। যদি এমন কথা একজন নারীর উদ্দেশে বলা হতো, তাহলে দেশজুড়ে প্রতিবাদ হত। কিন্তু পুরুষকে এসব বলে বাহবা পাওয়া যায়। এটা দ্বিচারিতা। মহুয়া মৈত্র যদি মনে করেন, এসব করে ব্যর্থতা ঢেকে রাখা যাবে বা নজর ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে, তা হলে তিনি ভুল করছেন। যাঁরা যুক্তি বা তথ্যের বদলে অপমান বেছে নেন, তাঁরা গণতন্ত্রের রক্ষক নন, তা দেশের মানুষ খুব ভালভাবেই বুঝতে পারেন।"