ভগবান বিষ্ণুর দশাবতারের মধ্যে একটি কূর্ম অবতার
ভগবান বিষ্ণুর দশাবতারের মধ্যে একটি কূর্ম অবতার। সমুদ্র মন্থনের সময় ভগবান কূর্ম রূপ ধারণ করে মন্দার পর্বতকে ধারণ করেছিলেন। কূর্ম অবতার স্থিতি, ধৈর্য, ভারসাম্য এবং সুরক্ষার প্রতীক। বাস্তু শাস্ত্রমতে কূর্ম মূর্তি বা প্রতীকের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। সঠিকভাবে এই অবতারের মূর্তি স্থাপন করলে পরিবারে সৌভাগ্য, অর্থপ্রাপ্তি এবং শান্তি আসে। তবে ভুলভাবে রাখলে ফল কিন্তু উল্টোও হতে পারে।
কূর্ম মূর্তি সাধারণত ধাতু বা পাথরের হয়। তবে বাস্তু মতে রঙেরও বিশেষ প্রভাব আছে। পিতল বা সোনালি রঙের কূর্ম অবতারের মূর্তি অর্থভাগ্য বৃদ্ধি করে এবং সমৃদ্ধি আনে। ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য এ রঙ অত্যন্ত শুভ। রুপালি বা সাদা রঙের কূর্ম মানসিক শান্তি, সুস্বাস্থ্য ও পারিবারিক সুখের জন্য উপযোগী। যাদের পরিবারে অশান্তি বেশি, তারা রুপালি কূর্ম রাখতে পারেন। সবুজাভ পাথরের কূর্ম কর্মজীবনে স্থিতি, শিক্ষায় সাফল্য ও উন্নতির জন্য শুভ। কালো পাথরের কূর্ম অতিরিক্ত শনি প্রভাব হ্রাস করে, তবে ঘরের পূজার ঘর ছাড়া অন্য কোথাও রাখলে তা অশুভ ফল দিতে পারে।
বাস্তু মতে সাধারণভাবে সোনালি বা রুপালি রঙের কূর্ম অবতার মূর্তি ঘরে স্থাপন করাই সর্বাধিক শুভ।
কোন দিকে রাখলে শুভ ফল পাবেন?
বাস্তু শাস্ত্রে দিকনির্দেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কূর্ম প্রতীক মাটির স্থায়িত্ব এবং শক্তির প্রতীক। তাই কোন দিকে স্থাপন করবেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
উত্তর দিক – অর্থভাগ্য বৃদ্ধির জন্য সর্বাধিক শুভ। যারা ব্যবসা বা চাকরিতে উন্নতি চান, তারা উত্তরমুখী স্থাপন করবেন।
পূর্ব দিক – শিক্ষায় সাফল্য, নতুন সুযোগ এবং সন্তান ভাগ্যে উন্নতির জন্য পূর্বমুখী কূর্ম রাখলে শুভ ফল পাওয়া যায়।
দক্ষিণ দিক – বাস্তু মতে দক্ষিণ দিক নেতিবাচক শক্তি শোষণ করে। তাই এখানে কূর্ম রাখলে তা পরিবারের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক হয়।