পুলিশি-ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ মহু
মঙ্গলবার সংসদে পড়েছে মুলতুবি। কারণ বিরোধীরা ব্যস্ত কমিশন ঘেরাওয়ে। একদিকে বিহায়া ভোটার পরিমার্জনের ক্ষোভ। অন্যদিকে, সম্প্রতি রাহুলের তোলা ‘ভোট-চুরির‘ অভিযোরে হওগ। একাধিক ইস্যুতেই দেশের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে ইন্ডিয়া ব্লক। তাতে যোগ দিয়েছে বাংলার তৃণমূল সাংসদরাও। কর্মসূচিতে সামিল হয়েছে ইন্ডিয়া-জোট থেকে ছিটকে যাওয়া আম আদমি পার্টির সাংসদরাও।
কিন্তু উত্তেজনা কখন ছড়াল? মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সংসদের মকরদ্বার থেকে শুরু হয় অভিযান। পায়ে পায়ে হেঁটে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর নির্বাচন সদন পর্যন্ত নিজেদের যাত্রা শুরু করে বিভিন্ন বিরোধী দলের ২০০ জন সাংসদ। কিন্তু কমিশনের দুয়ার যখন এখন হাতের নাগালে। ঠিক তার আগেই ৬০০ মিটার দূরত্বে ‘ঢাল‘ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে দিল্লি পুলিশ। তখনই চড়ে উত্তেজনা।
রবিবারই দিল্লি পুলিশ দাবি করেছিল, বিরোধী জোট ইন্ডিয়া তরফে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে কমিশনের এই প্রসঙ্গে একটি চিঠি যায় কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের কাছে। তাতে জানানো হয় যে ৩০ জন সাংসদ-সহ নিয়ে কমিশনে আলোচনার জন্য আসা যেতেই পারে। কিন্তু এই প্রস্তাবে রাজি নয় ইন্ডিয়া ব্লক। তাদের দাবি, গেলে ২০০ জনই যাবে। যার জেরে মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ তাদের ব্যারিকেড নিয়ে আটকাতে চড়ে বসে সাংসদরা।
দেখা যায়, শাড়ি পরেই ব্যারিকেড টপকাচ্ছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ব্যারিকেড টপকান সপা নেতা অখিলেশ যাদবও। তবে বেশিক্ষণ নয়। ক্ষণিকের মধ্য়ে তাদের টেনেহিঁচড়ে পুলিশ-বাসে তোলে দিল্লি পুলিশ। আর ওই টানাপোড়েনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মহুয়া মৈত্র্র। পুলিশের বাসে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দেখা যায় তাঁকে। অসুস্থ বোধ করছেন আরও এক তৃণমূল সাংসদ মিতালী বাগও। আপাতত মহুয়াকে সুশ্রুষা করছেন রাহুল-সহ অন্যান্য সাংসদরা।
এই আবহেই বড় অভিযোগ করে দিয়েছেন আরেক তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। তাঁর দাবি, “মহিলা সাংসদদের শাড়ি ধরে টেনেছে। আমাদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছে। আমার শাড়ি ছিঁড়েছে।“