বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান মমতা
বৃহস্পতিবারের বিধানসভা অধিবেশন রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে রইল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Benerjee) উদ্দেশ করে বিজেপি বিধায়করা স্লোগান তুলতেই পাল্টা আওয়াজ তোলেন তৃণমূলের বিধায়করা (TMC MLA)। একটা সময় ওয়েলে নেমে দুই পক্ষই বিক্ষোভে সামিল হন। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তেজিত হতে থাকলে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) নিজেই হস্তক্ষেপ করেন। তৃণমূল বিধায়কদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়ে তিনি আসনে ফিরে যেতে বলেন। তবে এখানেই থামেননি। বাংলাকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান মমতা।
বাঙালির গর্ব বাংলা ভাষা। আর সেই ভাষাকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় শুরু হয়েছে বিশেষ আলোচনা। কিন্তু বৃহস্পতিবার আলোচনার শুরুতেই ছন্দপতন হয়। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য শুরু করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মার্শাল ডেকে বের করে দেওয়া হয় বিজেপির শঙ্কর ঘোষকে। যা নিয়ে তুমুল আপত্তি তোলেন বাকিরা। এরপর দীর্ঘ বচসার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন শঙ্কর ঘোষ। বিজেপি বিধায়কদের কথায় বাধা পেয়ে এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বারবার থমকে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতীতে এমন বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়নি তাঁকে।
এ ব্যাপার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে বলেন, "আজ যেভাবে শঙ্কর ঘোষ-সহ অন্যান্যদের বের করে দেওয়া হয়েছে তাতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিধানসভা কক্ষে। হাসপাতালে ভর্তি। এই স্বৈরাচারী মমতার সরকারের পতন হবে, আমরা সেটা বিশ্বাস করি। বাংলার জনগন আমাদের বিধানসভায় পাঠিয়েছিল। আমরা আজকে স্বৈরাচারীদের আড়াই ঘণ্টায় সেটা বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দশ গোল দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। উনি এর আগে কখনও এরকম বিরোধিতার মাঝে পড়েননি। বিরোধী দলনেতাকে বাইরে রাখার পরও বাকি ৬৪ জন বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরাও এক একজন বিরোধী দলনেতা।"
তিনি আরও বলেন, "আজ মমতা বলেছে অমিত শাহজি চোর, মোদী চোর। যে ভাষা আজ ব্যবহার করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। জে পি নাড্ডাজি শঙ্কর ঘোষ, বঙ্কিম ঘোষের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। জানিয়েছেন, লড়তে রহো। বিজেপির ন্যাশনাল টিম যে আমাদের এরকম সাপোর্ট দিচ্ছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আজ সারা দেশে যাঁদের মোদী পদবি রয়েছে, তাঁদের চোর বলা হয়েছে। এই মোদী চোর বলেছিলেন বলে রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ গেছিল। আমি বলব, এই মমতার বিরুদ্ধেও যেন ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় এফআইআর করা হয়।"