ফুটবল খেলা নিয়ে বচসা, শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা |
সুদীপকে সরিয়ে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা অভিষেক, বৈঠকে ঘোষণা মমতার
লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা অভিষেক
তৃণমূলের অভ্যন্তরে আরও দায়িত্ব বাড়ল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি এবার থেকে তিনি লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতার দায়িত্বও সামলাবেন (Trinamool leader in Lok Sabha)।
সোমবার দলের সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে একথা ঘোষণা করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এতদিন এই পদে ছিলেন উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রের খবর, সুদীপ অসুস্থ, সে কারণেই তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে সেই দায়িত্ব দেওয়া হল অভিষেককে।
সূত্রের খবর, অভিষেককে লোকসভায় দলের দলনেতা হিসেবে নেত্রী ঘোষণা করার পরই লোকসভায় এতদিন দলের চিফ হুইপের দায়িত্ব সামলানো কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেন। সূত্রের খবর, কল্যাণের পদে এখনই কাউকে না বসালেও আপাতত সমন্বয়ের দায়িত্ব কাকলী ঘোষ দস্তিদারকে দেওয়া হল।
সংসদের বাদল অধিবেশন জুড়ে উত্তাল পরিস্থিতি। ‘অপারেশন সিঁদুর’ থেকে শুরু করে বিহারের ভোটার তালিকা বিতর্ক— একের পর এক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতিকে আরও চড়া সুরে ব্যবহার করতে এদিন দলের সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে নেত্রী বলেন, সুদীপ অনেকদিন ধরেই অসুস্থ। তাঁর পক্ষে এখন আর সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব সামলানো সম্ভব নয়। তাই এখন থেকে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা থাকবে অভিষেক।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সংগঠন সামলাচ্ছেন। এবার সংসদীয় রাজনীতিতেও তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আনা হল। লোকসভায় দলের কণ্ঠস্বর আরও স্পষ্ট, ধারালো এবং প্রভাবশালী করতে অভিষেকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই বদলের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল মূলত বার্তা দিল, তারা তরুণ নেতৃত্বের হাতেই ভবিষ্যতের রাজনীতির রাশ তুলে দিতে প্রস্তুত, তবে পুরনো এবং অভিজ্ঞ নেতৃত্বকে পিছনে ঠেলে নয়, বরং সঙ্গে রেখেই।