কেন্দ্রীয় পথ খুলতে উদ্যোগী বিস্তা, মমতাকে ‘অনুরোধ’ চিঠি দার্জিলিঙের সাংসদের |
নবান্নে খোলা হল কন্ট্রোল রুম, উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবারকে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, বললেন, ‘কালই যাব’
নবান্নে খোলা হল কন্ট্রোল রুম
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সোমবারই তিনি উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন। যেহেতু কার্নিভালে অনেক বিদেশি অতিথিরা আসেন, তাই সেক্ষেত্রে এই অনুষ্ঠান স্থগিত করা সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “উত্তরবঙ্গে উদ্বেগজনক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অকস্মাৎ এই বিপুল বৃষ্টিতে এবং নদীর বন্যায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাদের কয়েকজন ভাই- বোন আমরা হারিয়েছি বলে খবর এসেছে। এই দুঃসংবাদে আমি আন্তরিকভাবে মর্মাহত। প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারবর্গকে আমি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। প্রত্যেক পরিবারের কাছে আমাদের সহায়তা অবিলম্বে পৌঁছে যাবে।” উল্লেখ্য়, ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
সোমবার উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটারেরও বেশি হঠাৎ বৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি সংকোশ নদী এবং সাধারণভাবে সিকিম ও ভুটান থেকে বিভিন্ন নদীর বিপুল পরিমাণ জল এ রাজ্যে চলে আসায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়। জলের ভয়ঙ্কর তোড়ে দুটি লোহার সেতু ভেঙ্গে গিয়েছে, প্রচুর রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে, বিশেষত মিরিক, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, মাটিগাড়া এবং আলিপুরদুয়ার থেকে আমাদের কাছে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি শনিবার রাত থেকেই পরিস্থিতির উপরে টানা নজর রেখেছেন। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব, পুলিশের ডিজি, উত্তরবঙ্গের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন তিনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেই মিটিংয়ে ছিলেন গৌতম দেব ও অনিত থাপা। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আমি সর্বক্ষণ সকলের সঙ্গে যোগাযোগে আছি এবং এই সূত্রে সোমবারই নিজেই মুখ্যসচিব-কে নিয়ে উত্তরবঙ্গ যাচ্ছি।”
উত্তরবঙ্গের পর্যটকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পুলিশ প্রশাসন পর্যটকদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।