কুণালের চোখে মমতা মা লক্ষ্মী
তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন মা সারদা। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা লক্ষ্মীর সঙ্গে তুলনা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। আবার ‘ডাকিনী, যোগিনী, পিশাচ’ বলে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন তিনি।
শনিবার কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চাননতলায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। মঞ্চে গান গেয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। সলিল চৌধুরীর কথা ও সুর দেওয়া হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে বিখ্যাত ‘কোনও এক গাঁয়ের বধূর কথা তোমায় শোনাই শোনো’ গেয়ে ওঠেন কুণাল। গানে রয়েছে ‘গাঁয়ের বধূর শাঁখের ডাকে, লক্ষ্মী এসে ভরে দিত, গোলা সবার ঘরে ঘরে’। গানের এই কথার রেশ ধরেই মুখ্যমন্ত্রীকে মা লক্ষ্মীর সঙ্গে তুলনা করেন কুণাল। বলেন, “গাঁয়ের বধূর শাঁখের ডাকে যিনি আসেন, তিনি মা লক্ষ্মী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” ওই গানেই রয়েছে ‘ডাকিনী যোগিনী এল শত নাগিনী, এল পিশাচেরা এল রে’। সেকথা উল্লেখ করে কুণাল বলেন, “বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ডাকিনী, যোগিনী আর পিশাচ।”
পরে সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি মা লক্ষ্মীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলনা করছেন? সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নানা রকমের তুলনা করা যায়। মা দুর্গাও তুলনা করা যায়, মা লক্ষ্মীও তুলনা করা যায়। ডেভেলপমেন্ট, সম্প্রীতি, সমৃদ্ধি, শান্তি, তার প্রতীক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কুণালের এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এই মন্তব্য নিয়ে কিছু বলার থাকে নাকি কোনও ভদ্রলোকের। কুণাল ঘোষরা যে করে খায়, তাতে তো মা লক্ষ্মী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে এদের অনেকের বাড়িতে হাঁড়ি চড়ত না।”