রঘু ডাকাতের ট্রেলার লঞ্চে দেবকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন মমতা
ইন্ডাস্ট্রিতে পায়ে পায়ে কুড়ি বছরের পথচলা সম্পূর্ণ করলেন দেব। শনিবার নেতাজি ইন্ডোরে ‘রঘু ডাকাত’ ছবির ট্রেলার লঞ্চে উদযাপিত হল সুপারস্টারের জীবনের সেই বিশেষ অধ্যায়। এই কুড়ি বছরে দেবকে দেখা গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক কিছু দিতে। দর্শককে নতুন অনেক কাজ উপহার দিতে। ছবির ট্রেলার লঞ্চের এই ঝলমলে অনুষ্ঠানেই সাংসদ তথা অভিনেতার উদ্দেশে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, "তুমি ভাল ছেলে, বাংলার গর্ব।" দিদির বার্তায় আপ্লুত দেবও পাল্টা জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যেই তাঁর রাজনীতিতে আসা। দিদি আবেগ, দিদি রাজনীতির ঊর্ধ্বে।
পুজোর মরসুম মানেই একের পর এক বাংলা ছবি, বক্স অফিসে ধুন্ধুমার প্রতিযোগিতা। কিন্তু সেই ভিড়েও এদিন দেখা গিয়েছে এক অন্যরকম সৌহার্দ্যের ছবি। ‘দেবী চৌধুরানী’-র পর্দার ভবানী পাঠক মঞ্চে ওঠেন অন্য এক উৎসবের সাক্ষী হতে— দেবের টলিপাড়ায় কাটানো ২০ বছরের উদযাপন আর ‘রঘু ডাকাত’-এর ট্রেলার লঞ্চের মহোৎসবে।
‘পাগলু’ কিংবা ‘দুই পৃথিবী’র সুপারস্টার বছরখানেক ধরে যেভাবে ছক ভেঙে ক্যামেরার সামনে ধরা দিচ্ছেন, তাতে মুগ্ধ হয়েছেন সিনে-সমালোচকরাও। যে কোনও চরিত্র আত্মস্থ করতে কড়া হোমওয়ার্কের যে কোনও বিকল্প নেই, সেকথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন দেব।
ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘গোলন্দাজ’-এ নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর চরিত্র জীবন্ত করে তুলতে নিয়মিত অনুশীলনে কোনও খামতি রাখেননি দেব। দু’দফা করে মাঠে নেমে ঘাম ঝরিয়েছিলেন তিনি। ছবিটি মুক্তির পর শুধু দর্শকই নয়, সমালোচকরাও তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে প্রশংসার ঝাঁপি ভরেছিলেন। এবার ‘রঘু ডাকাত’-এর ক্ষেত্রেও সেই ধ্রুব-দেব জুটি যে বড় চমক নিয়ে হাজির হতে চলেছে, তা নিয়ে দর্শকমহলে ইতিমধ্যেই প্রত্যাশা তুঙ্গে। বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ‘গোলন্দাজ’-এ যেমন দেব-অনির্বাণকে একসঙ্গে পেয়েছিল দর্শক, ঠিক তেমনই ‘রঘু ডাকাত’-এও আবার একই পরিচালক ও প্রযোজক জুটি হাত মিলিয়েছেন।
এসভিএফ-এর দুই কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা আর মহিন্দর সোনিও সেই মঞ্চে স্মৃতির পাতায় ফিরেছেন। প্রসেনজিতের বক্তব্য—“গত ৩০ বছর ধরে এই দুই ভাই দর্শকদের আনন্দের সঙ্গী। একসময় ৩০ লাখে ছবি হতো, আজ এই অনুষ্ঠানটাই হচ্ছে ৩০ লাখ টাকার।"