সনাতন ধর্ম ‘রক্ষার ডাক’, শুনানির মাঝেই প্রধান বিচারপতিকে জুতো ছুড়ে সাসপেন্ড আইনজীবী |
খগেনকে দেখতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী, ডাক্তারদের সঙ্গেও কথা মমতার
খগেনকে দেখতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী
উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে নাগরাগাটায় (Nagrakata) সোমবার আক্রান্ত হন বিজেপি সাংসদ (BJP MP Khagen Murmu) খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ (MLA Shankar Ghosh)। সাংসদ, বিধায়কের পাশাপাশি তাঁদের রক্ষীদেরও মারধরের অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে এই দুজন ভর্তি রয়েছেন উত্তরবঙ্গের বেসরকারি হাসপাতালে। এদিন দুপুরে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কথা বললেন চিকিৎসকদের সঙ্গে।
উত্তরবঙ্গের ওই হাসপাতালে খগেন ও শঙ্কর দুই সাংসদ-বিধায়ক ভর্তি থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র খগেন মুর্মুর সঙ্গেই দেখা করেন। বেরিয়ে জানান, সাংসদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে।
শনিবার রাতভর টানা ভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় নাগরাকাটা-সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায়। ধস, রাস্তার উপর দিয়ে তিস্তা-সহ একাধিক নদী বয়ে যাওয়ায় বিভৎস খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
সোমবার নাগরাকাটা পরিদর্শনে পৌঁছন খগেন ও শঙ্কর। খগেন মুর্মুর গাড়িতেই তখন ছিলেন বিধায়ক। অভিযোগ, আচমকা তাঁদের উপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। নাগরাকাটা পোঁছতেই তাঁদের দিকে তেড়ে আসে তারা। বাঁশ, লোহার রড, পাথর দিয়ে মারধর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় গাড়িতেও। গুরুতর আঘাত লাগে সাংসদ খগেন মুর্মুর। রক্তে ভেসে যান তিনি। আক্রান্ত হন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও।
পরে শঙ্কর বলেন, 'পরিকল্পিতভাবে আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। চালকের তৎপরতায় দ্রুত এলাকা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি।' বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। তবে অভিযোগ উড়িয়ে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, 'এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। সাংসদ-বিধায়ক হিসেবে ওরা ব্যর্থ, তারই ফলে মানুষ ক্ষোভ উগরে দিয়েছে।'
এদিকে খগেন মুর্মুর অবস্থা খারাপ হতে থাকায় দিল্লি থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতাদের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। দিল্লি এইমসে স্থানান্তরিত করার কথাও ওঠে।
একদিকে যখন তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলতে ব্যস্ত বঙ্গ বিজেপি, চারিদিকে চলছে প্রতিবাদ, ঠিক সেই সময় রাজ্যের সাংসদকে দেখতে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। শারীরিক অবস্থা ও আপডেট নিয়ে কথা হয় চিকিৎসকদের সঙ্গে।