বাছা বাছা বিশেষণে ফের কল্যাণকে আক্রমণ মহুয়ার
পুরনো দ্বন্দ্ব ফের নতুন করে উসকে উঠল তৃণমূলের অন্দরে। একেবারে বাছা বাছা বিশেষণে দলের বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে আক্রমণ শানালেন আরেক সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শনিবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মহুয়া নিজেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে রীতিমতো কড়া কড়া শব্দ প্রয়োগ করলেন। যা নিয়ে নতুন করে মহুয়া-কল্যাণ দ্বৈরথ শুরু হল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।বলেন, ”শুয়োরদের সঙ্গে আমি কুস্তি করতে পারব না।”
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারে কেন হস্তক্ষেপ করছেন না? সঞ্চালিকার এই প্রশ্নের জবাবও মহুয়া দিলেন নিজের তীক্ষ্ণ বাকচাতুর্যের মধ্যে দিয়ে। তাঁর বক্তব্য, মমতা নিজেও এসব ‘সমস্যাজনক’ সহকর্মীদের নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলেছেন। সময় এলে তিনি নিজেই পদক্ষেপ নেবেন বলে আস্থা রাখেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। তবে মহুয়ার এহেন আক্রমণের মুখে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। গোটা ঘটনাটি তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। তাদের নির্দেশমতো কাজ করবেন। এর মধ্যে আবার সোমবার দলের সমস্ত সাংসদকে ভারচুয়াল বৈঠকে ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মহুয়া মৈত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় – দু’জনেরই হাজির থাকার কথা। সেখানেও তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়বেন না তো তাঁরা? এই আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ জনপ্রতিনিধি মহুয়া মৈত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। একদা দিল্লিতে দলের কর্মসূচি থেকেই তার সূত্রপাত। সেসময় মহুয়ার উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করায় সাংসদের তীব্র রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল কল্যাণকে। সেবার তিনি কল্যাণের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতেও যাচ্ছিলেন। তাঁকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামেন দলের আরেক সেলেব সাংসদ। তাতে সাময়িক উত্তেজনা প্রশমন হলেও পরে মহুয়া দলকে চিঠি লিখে সবটা জানিয়েছিলেন। সেই চিঠি প্রকাশ্যেও চলে আসে।
এবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মহুয়া নিজেই কল্যাণের নাম উল্লেখ করে রীতিমতো বাছা বাছা বিশেষণ প্রয়োগ করলেন। শ্রীরামপুরের সাংসদকে ‘নারীবিদ্বেষী’, ‘যৌন অসুখী’ বলে আক্রমণ করেন। এই মন্তব্যও করেন, ”শুয়োরদের সঙ্গে কুস্তিতে নামতে পারব না।” মহুয়ার এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি সরাসরি প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। গোটা বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, তারপর সেইমতো পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।