প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে রাস্তায় তাড়া করে মারল উন্মত্ত জনতা!
নেপালের (Nepal) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কে পি ওলি (KP Oli)। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীও পদ ছেড়েছেন। কিন্তু প্রতিবাদ (Gen Z Protest) থামছে না বরং তা আরও ভয়ানক রূপ নিয়েছে। নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রীকে (Deputy PM) তাড়া করে মারধর করেছেন উত্তেজিত জনতা। ছাড় পাননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও (Ex PM)।
বিভিন্ন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেলকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে তাড়া করেন একদল বিক্ষোভকারী। ফেলে পেটানো হচ্ছে তাঁকে। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং বিদেশমন্ত্রী আরজু রানাও মার খেয়েছেন আন্দোলনকারীদের হাতে।
প্রবল সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল অবস্থায় পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সর্বদল বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। মঙ্গলবার সন্ধে ৬টায় ওই বৈঠক হবে বলে স্থির হয়েছিল। আর তাতেই বিভিন্ন মহলে তাঁর সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছিল। এর কিছু পরেই তাঁর ইস্তফা দেওয়ার খবর সামনে আসে।
ওলি এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠরোধ করতে সরকার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদ রাতের মধ্যে ভয়াবহ রূপ নেয়। সেনা ও পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান অন্তত ২১ জন, আহত হন ৩০০-র বেশি। প্রবল চাপের মুখে সোমবার গভীর রাতেই সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু তাতেও আন্দোলন স্তিমিত হয়নি।
কিন্তু দেশ ছাড়লে কে পি ওলি যাবেন কোথায়? ভারতের সঙ্গে ওলির সম্পর্ক খারাপ থাকায় তিনি এদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাবেন না। নেপালের কাছের বন্ধু চিনও তাঁকে নিতে নারাজ। ইস্তফা দিয়ে নিরাপদ পলায়ন চেয়েছেন ওলি। সেইমতো সেনাবাহিনী তাঁকে দুবাই ছেড়ে দিয়ে আসতে পারে। সেনাবাহিনী ওলিকে পালাতে সাহায্য করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও বিদ্রোহীরা ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একাংশে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং গোটা চত্বর ঘিরে রেখেছে। যাতে কোনও মন্ত্রী বা পদাধিকারী পালাতে না পারেন।