মাঝরাতে স্টেশনেই চোখ মেলল নবজাতক
জীবনে প্রথমবারের মতো মানুষের কত কী অভিজ্ঞতাই না হয়। বিকাশ বেদ্রের এটাই জীবনের প্রথম ট্রেনসফর নয় হয়তো, তবে এইবারে যে অভিজ্ঞতার সাক্ষী তিনি হলেন, তা তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা স্মৃতি হয়ে থাকবে (viral story in ram mandir station)।
রাত তখন ১টা। নিস্তব্ধ মুম্বই শহর পেরিয়ে যাচ্ছিল এক লোকাল ট্রেন। হঠাৎই রাম মন্দির স্টেশনের (Ram mandir Station) কাছে এক মহিলা যাত্রী প্রসববেদনায় কাতর হয়ে পড়েন। খবর দেওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্সে, কিন্তু সেটি পৌঁছতেও দেরি হচ্ছিল।
স্টেশনের মাঝে ওই পরিস্থিতি, তারপর মাঝরাত - সব মিলিয়ে আশপাশের মানুষের ভাবনাচিন্তা করার সুযোগটাই ছিল না। কিন্তু আজ থেকে কিছু বছর আগের একটা সিনেমার সিন যেন 'রিক্রিয়েট' হল মুম্বইয়ের কাছাকাছি এক রেলওয়ে স্টেশনে। বাস্তবের বিকাশ বেদ্রের সঙ্গে মিশে গেল 'থ্রি ইডিয়টস' সিনেমার র্যাঞ্চোর (real life '3 Idioits') জীবন।
ঠিক সেই সময় এক সাধারণ মানুষ এগিয়ে এলেন। তিনি কোনও ডাক্তার নন, কিন্তু সাহস, সংযম আর মানবিকতা দিয়ে একজন চিকিৎসকের ভিডিও কলের নির্দেশনা মেনে তিনি নিজের হাতে শিশুটির জন্মে সাহায্য করেন। 'ছেলে হয়েছে...' আনন্দে মেতে ওঠে গোটা স্টেশন।
বাচ্চাটির জন্মের কিছু সময় পর অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছয় স্টেশন চত্বরে। মা ও নবজাতক - দু’জনকেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দু’জনেই এখন সুস্থ।
বিকাশ নিজেও যে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন এমন নয়, কিন্তু পিছিয়ে আসেননি। প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা ওই মহিলাকে ওই অবস্থায় দেখে সাহসে ভর করে এগিয়ে আসেন। বাচ্চাটির জন্মের পর সকলে মিলে তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দেন।
সেদিন 'থ্রি ইডিয়টস'-এ র্যাঞ্চোর সাহসিকতায় সব বাধা পেরিয়ে কলেজের কমন রুমে জন্ম নিয়েছিল এক শিশু। এমন কিছু বাহুল্য ছিল না সেই মুহূর্তে, কিন্তু মন জয় করে নিয়েছিল মানুষের। সেদিনের সেই সিনেমার সিন মনে করিয়ে দিল রাম মন্দির স্টেশনের মুহূর্তকে।