কেন্দ্রীয় পথ খুলতে উদ্যোগী বিস্তা, মমতাকে ‘অনুরোধ’ চিঠি দার্জিলিঙের সাংসদের |
'কোনও রকম চিন্তা করার দরকার নেই, সরকার আছে,' উত্তরবঙ্গের মানুষদের আশ্বাস মমতার
উত্তরবঙ্গের মানুষদের আশ্বাস মমতার
অল্প সময়ের প্রবল বৃষ্টিতে (Heavy Rain) বিপর্যস্ত উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের (North Bengal Flood) বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এক রাতের টানা বৃষ্টিতে তছনছ উত্তরবঙ্গ, দুই লোহার সেতু ভেঙে পড়েছে, প্লাবিত দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং (Kalimpong), জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ও আলিপুরদুয়ারের বহু এলাকা। দক্ষিণবঙ্গেও একইভাবে ঝড়-বৃষ্টি ও জলবন্দি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, তিনি নিজে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।
রবিবার নবান্ন (Nabanna) থেকে রাজ্যের বিপর্যয় পরিস্থিতির উপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, “গতরাতে উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তার সঙ্গে ভুটান ও সিকিম থেকে অতিরিক্ত জলের চাপ এসে তিস্তা-সহ অন্যান্য নদীগুলিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।”
মমতা বলেন, “এই পরিস্থিতিতে কয়েকজন ভাই-বোনকে হারিয়েছি আমরা। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাই। রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা পৌঁছে দেবে।”
দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। মিরিক, মাটিগাড়া, কালিম্পং-এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, দুইটি লোহার সেতু ধসে পড়েছে, বহু রাস্তা ভেঙে গিয়েছে বা বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছে।
শনিবার রাত থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্যের ডিজিপি, উত্তরবঙ্গের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে একাধিক ভারচুয়াল বৈঠক করেছেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন গৌতম দেব ও অনীত থাপার মতো জনপ্রতিনিধিরাও। মমতা জানিয়েছেন, “আমি নিজে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি এবং সোমবার মুখ্যসচিবকে নিয়ে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছি।”
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী পর্যটকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন, “উত্তরবঙ্গে যারা পর্যটনে গিয়েছেন, তাঁরা এখন যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন। পুলিশ তাঁদের নিরাপদে সরিয়ে দেবে। কোনও রকম চিন্তা করার দরকার নেই, উদ্ধারকার্য ও খরচ সম্পূর্ণ রাজ্যের দায়িত্ব।”