কী করেছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার?
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। মাঝ রাস্তায় জ্যাম। চারচাকা থেকে দু’চাকা, সবই দাঁড়িয়ে আছে লাইন দিয়ে। কারণ, এক মহিলা গেঞ্জি ধরে রেখেছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। আর চিৎকার করে বলছেন, “আমি পুলিশের লোক বলে হুমকি দিয়েছিলি না? এবার দেখ…।” জানা গেল, যাঁর গেঞ্জি চেপে ধরা তিনি পেশায় সিভিক। মহিলার কাছ থেকে নিস্তার পেতে নানা রকম চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। তাঁকে উত্তম-মধ্যম দিল স্থানীয় বাসিন্দারা।
তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগ। সোনা-গহনা সহ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। এরপর অভিযোগ দায়ের করা হয় কোতোয়ালি থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত সিভিককে। ধৃতকে আজ কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হয়।
নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘটনা। নির্যাতিতা যুবতির অভিযোগ, নদিয়ার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ার বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে দু’বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে। গত দু’বছর ধরে কৃষ্ণনগরের একটি ভাড়া বাড়িতে তাঁকে রেখে দেন ওই সিভিক। পরবর্তীতে তাঁদের বিয়ে নিয়ে শুরু হয় দু’জনের মধ্যে বচসা। বিয়ে করার জন্য অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার ওই যুবতির কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে দাবি। শুধু তাই নয় প্রতিনিয়ত মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করেন। প্রতিবাদ করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত সিভিক।
এদিন সিভিক ভলান্টিয়রের এই কর্মকাণ্ডের জন্য কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা। নির্যাতিতার এও অভিযোগ, গত কয়েকদিন আগে আবারও তার সোনার অলঙ্কার ও টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। প্রতিবাদ করলে আইনের হুমকি দেখায় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার বলে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাণ সংশয়ে ভুগছে নির্যাতিতা। চাইছেন বিচার।