দলে ফিরলেন, ঘরে ফিরবেন শোভন?
২০১৭ সালে রত্নার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন শোভন। তারপর কয়েক বছরে দু’জনেই পরস্পরকে বারবার তোপ দেগেছেন। সেইসময় শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়েও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২ বছরের মাথায় একুশের নির্বাচনে সময় বিজেপি ছাড়েন। তারপর রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি তাঁকে। এতদিন পর তাঁকে নিউটাউন কলকাতা ডেভেপলমেন্ট অথরিটি(NKDA)-র চেয়ারম্যান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভনের এই প্রত্যাবর্তনে খুশি রত্না।
সাত বছর পর শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে কাননের (এই নামেই শোভনকে ডাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যখন দূরত্ব ঘুচল, তখন কী মনে হচ্ছে রত্নার? তিনি কি চান, শোভন ফের তাঁদের সংসারে ফিরে আসুন? রাখঢাক না রেখেই জবাব দিলেন শোভনের ছেড়ে যাওয়া বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না। কী বললেন তিনি?
তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচার মতো শোভনের সঙ্গে রত্নারও কি দূরত্ব ঘুচবে? ঘরে ফিরবেন শোভন? মাস কয়েক আগেই শোভনের বিবাহ বিচ্ছেদ আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আবার একসঙ্গে থাকার যে আবেদন রত্না করেছিলেন, তাও আদালত খারিজ করে দিয়েছে। ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ না হলেও ঘরে ফেরেননি শোভন। এখন কি রত্না চাইছেন, তাঁর পরিবারের সঙ্গেও দূরত্ব ঘুচে যাক শোভনের?
রত্না বলেন, “অকারণে আমাকে ও আমার ছেলেমেয়েকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।” তারপরই তাঁর বক্তব্য, “বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় জয়ের পর আমি বলেছিলাম, ২৪ ঘণ্টা ঘরের দরজা খোলা রয়েছে। উনি যদি মনে করেন, উনি ফিরে আসবেন। এখনও আমি বলছি, ওঁর জন্য দরজা খোলাই আছে। ফিরে আসলে ওঁর খারাপ হবে না। তবে ৮ বছরে যে সময় ওঁর চলে গিয়েছে, সেই সময়টা আর ফিরে আসবে না।”
শোভনকে ব্যক্তিগত কোনও বার্তা কি দিতে চান রত্না? বেহালা পূর্বের বিধায়ক বলেন, “শোভনবাবুকে আমার কিছু বলার নেই। উনি যথেষ্ট বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ। ওঁর যথেষ্ট যোগ্যতা ছিল। উনি সেটা নিজের হাতে নষ্ট করেছেন। এখন একটা পদ উনি পেলেন। ভাল করে কাজ করুন। মন দিয়ে কাজ করুন। আর যেন সময় নষ্ট না করেন।”