আগামী সপ্তাহে নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে কথা সংসদে
শুধু এসআইআর (SIR) নিয়ে সংসদে কোন আলোচনা হবে না। আলোচ্য বিষয় হবে নির্বাচনী সংস্কার। সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiran Rijiju) মঙ্গলবার এক্স পোস্টে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। আগামী সোমবার সংসদের দুই কক্ষেই বন্দেমাতরমের সার্ধশতবর্ষ নিয়ে আলোচনা হবে। এজন্য ৮ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। আলোচনার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। পরদিন মঙ্গলবার দীর্ঘ সময় ধরে কথা হবে নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে।
মঙ্গলবার দুপুরে সংসদীয় মন্ত্রী রিজিজু আভাস দিয়েছিলেন সংসদে এসআইআর (SIR) নিয়ে বিতর্কে সরকারের আপত্তি নেই। তার আগে বিরোধীরা সংসদের দুই কক্ষেই ভোটার তালিকার (Voter List) নিবিড় সংশোধনী নিয়ে আলোচনার দাবিতে তুমুল হট্টগোল করেন। এক পর্যায়ে তারা সভা থেকে ওয়াক আউট (Walkout) করেন। বিকালে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় লোকসভায় নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আগামী মঙ্গলবার আলোচনা হবে। সেই সিদ্ধান্তে পরে সীলমোহর দেয়, লোকসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটি।
সামগ্রিকভাবে নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে সরকার আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করায় বিরোধীরা মোটের উপর খুশি। কংগ্রেস সাংসদ মনিক্কম টেগর বলেন সরকারের সিদ্ধান্তে ইন্ডিয়া জোটেরই জয় হল। বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বিশেষ করে রাহুল গান্ধী এই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরব।
সরকারি সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ওয়াকিবহালমহল মনে করছে, এরফলে বিজেপি সহ এনডিএর শরিকেরা কংগ্রেস সহ বিরোধীদেরও চেপে ধরার সুযোগ পাবে। বছর ঘুরতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। বাংলায় নির্বাচনী সন্ত্রাস এবং কারচুপির অভিযোগ নিয়ে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। আবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির অভিযোগ ইন্দিরা গান্ধীর জমানা নিয়ে। জরুরি অবস্থা সময় ইন্দিরা গান্ধী নির্বাচন কমিশনকে কংগ্রেসের পকেটে পুরেছিলেন বলে অভিযোগ। আবার জরুরি অবস্থার পর দু'বার ভারতের উচ্চ আদালত ইন্দিরা গান্ধীর দুটি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে দিয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ তৎকালীন কংগ্রেস সরকার নির্বাচন কমিশনকে চাপ দিয়ে ইন্দিরা বিজয় নিশ্চিত করে।