বিহারের মঞ্চ থেকে সাফ কথা মোদীর
ভোটমুখী বিহার হোক বা বাংলা, শুক্রের ভাষণের অভিমুখ মন্ত্রিত্ব বাতিল বিলই। আর বিহার থেকেই সেটা বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলায় আসার আগে বিহারে গিয়েছেন তিনি। আর সেখানে গিয়ে মোদীর সাফ কথা, ‘জেল থেকে সরকার চালানো চলবে না।’ এই ভাষণ যে বিরোধীদের নিশানা করেই তা আর উল্লেখ করার প্রয়োজনীয়তা নেই।
তাঁর কথায়, “একজন ছোট সরকারি কর্মচারীকেও যদি ৫০ ঘণ্টা পুলিশি হেফাজতে রেখে দেওয়া হয়, তা হলে তাকে তার পদ থেকে নিলম্বিত বা সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। কিন্তু একজন মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রী জেলে বসে সরকার চালাতে পারেন। এটা কীভাবে সম্ভব?”এরপরেই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে নিশানা করে মোদী বলেন, “আমরা আগেও দেখেছি, কীভাবে জেল থেকে বসে সরকার চালানো হয়, একের পর এক ফাইলে সাক্ষর করা হয়। নেতারাই যদি এরকম হন, তা হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালানো অসম্ভব। সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি জনপ্রতিনিধিকে নৈতিক হওয়া প্রয়োজন। সেই কারণেই আমাদের সরকার এমন একটি আইন আনতে চলেছে, যার নজরদারিতে খোদ প্রধানমন্ত্রীও থাকবেন।”
উল্লেখ্য, বুধবার আরও দু’টি বিল-সহ সংসদে ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যাতে বলা হয়, কোনও গুরুত্বর অপরাধে যদি কোনও মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ৩০ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তা হলে ঠিক ৩১ দিনের মাথায় ওই মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর পদ থেকে সরে যেতে হবে। অবশ্য, এই বিল সংসদে পেশ হতেই সুর চড়ায় বিরোধী শিবির। যার জেরে সংসদ মুলতুবি হয়ে যায়। পাশ হয় না বিল। উল্টে বিবেচনার জন্য় সেটিকে পাঠানো হয় জেপিসি কমিটির কাছে।