বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হিমাচল প্রদেশে মোদী
বন্যা বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার আকাশপথে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। বন্যা ও বৃষ্টির জেরে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকও করেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেড় হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বন্যায় মৃতদের পরিজনদের সঙ্গেও মোদী দেখা করেন। মৃতদের পরিজনদের ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন তিনি। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এদিন হিমাচল প্রদেশে পৌঁছে প্রথমে আকাশপথে বন্যা ও বৃষ্টি বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর কাঙ্গরায় বৈঠক করেন। সেখানে ছিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। ওই বৈঠকের পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সমবেদনা জানান। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স(NDRF), স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (SDRF)-র কর্মী এবং আপদমিত্র ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় যেভাবে তাঁরা উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তার প্রশংসা করেন মোদী।
হিমাচল প্রদেশ সরকার জানিয়েছে, জুনের মাঝামাঝি থেকে এখনও পর্যন্ত বন্যা, হড়পা বানে রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এই সময়ের মধ্যে বৃষ্টি, ভূমিধস, হড়পা বানে ৩৭০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আবার বৃষ্টির জেরে পথ দুর্ঘটনায় আরও ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৬ হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশকে দেড় হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করার কথা ঘোষণা করে মোদী বলেন, “বন্যা বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশে সংস্কারের কাজে রাজ্যকে সবরকম সাহায্য করবে কেন্দ্র। পরে এক্স হ্যান্ডলে মোদী লেখেন, বন্যা ও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হিমাচল প্রদেশের মানুষের সঙ্গে কথা বললাম। তাঁদের যন্ত্রণা বেদনাদায়ক। এই সংকটের সময় সকলের কাছে ত্রাণ ও সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সম্পূর্ণরূপে দায়বদ্ধ।”
এদিন বন্যা বিধ্বস্ত পঞ্জাব পরিদর্শনেও যান প্রধানমন্ত্রী। পঞ্জাবকে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা তিনি ঘোষণা করেন। গুরদাসপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, NDRF, SDRF কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।