নবমী থেকেই বৃষ্টি-অসুর!
ষষ্ঠী-সপ্তমী মোটামুটি শুকনো গেলেও রেহাই মেলেনি অষ্টমীতে। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা। রাতেও টিপটিপ বৃষ্টি। কিন্তু এখানেই শেষ নয়—আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে (Durga Puja Weather Update), নবমী থেকে শুরু হবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি, দশমী-একাদশীতে তা রূপ নিতে পারে দুর্যোগে।
আবহাওয়া দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, অষ্টমীর বিকেলেই মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। নবমী থেকে ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২ অক্টোবর দশমীর দিন তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। অনুমান, ৩ অক্টোবর একাদশীর সকালে দক্ষিণ ওড়িশা–উত্তর অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়বে।
দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস
নবমীতে (১ অক্টোবর): কলকাতা, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎসহ মাঝারি বৃষ্টি। ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া।
দশমীতে (২ অক্টোবর): দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি। বাকি জেলাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
একাদশীতে (৩ অক্টোবর): কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও নদিয়ায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।
উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি
নবমীতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি কিছুটা বাড়বে।
দশমীতে দুর্যোগ বাড়বে দার্জিলিং-সহ পার্বত্য ৫ জেলায়।
একাদশী ও দ্বাদশীতে প্রবল বৃষ্টি, নিচের দিকের মালদা ও দুই দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
শনিবারও দুর্যোগ বজায় থাকবে।
কলকাতার আকাশ
নবমী (বুধবার): বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি।
দশমী (বৃহস্পতিবার): ভারী বৃষ্টি।
একাদশী (শুক্রবার): ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।
শনিবার: বৃষ্টি কমবে।
রবিবার (কার্নিভাল): বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।