দাঁড়িয়ে রয়েছে বালির গাড়ি
ফের বালি মাফিয়া দের দাদাগিরি। রাতভোর গ্রামবাসীদের সঙ্গে উত্তেজনা। বালিগাড়ি আটকে এলাকা অবরোধ করে রাখে গ্রামবাসীরা। অবরোধ হটাতে হুমকি, ধস্তাধস্তি, ফোন করে পুলিশ কে যাতে খবর দিতে নাপারে তাই ফোন কেড়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ বালি খাদানের দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীরা চড়াও হলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। সৌরভ রায় বলে নামে এক ব্যাক্তির খাদান। এই সৌরভ বৈধ খাদানের পেছনে অবৈধভাবেই বেশী বালি পাচার করে বলে অভিযোগ। বর্ষায় নদী থেকে বালি তোলা মানা থাকলেও বহাল তবিয়তে বালি তুলে ওভারলোড বালি চালাচ্ছে। প্রশাসন দেখেও কিছু বলেনা।
ঘটনাটি লালগড় থানার সিজুয়া এলাকার। গ্রামের রাস্তা দিয়ে অনবরত পার হয় অবৈধ ওভারলোডেড বালি গাড়ি, ফলে রাস্তার বেহাল অবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় গ্রামবাসীরা অবরোধ করে রাস্তা। গতকাল দুপুর দুটো থেকে অবরোধ শুরু হয়েছে, এখনো পর্যন্ত অবরোধ চলছে। গতকাল বিকেলে স্থানীয় লালগড় থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে এলে তাদেরকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে তাদেরকে জানানো হয়েছিল তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি তার জন্যই যতদিন না পর্যন্ত রাস্তার সমাধান হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ থাকবে।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, অনবরত ওভার লোডেড গাড়ি পার হয় এই রাস্তা দিয়ে। গাড়ির পারমিট রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ সিএফটি সেখানে মাল যাচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ সিএফটি। অর্থাৎ এক একটি গাড়িতে দ্বিগুণ লোডে বালি চলে যাচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় খাদান মালিকের বিরুদ্ধে। অবরোধের পর থেকে থমথমে হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা। অবরোধে আটকে পরে সমস্ত বালি গাড়ি। এরপরই গুন্ডা বাহিনী নামায় খাদান মালিক।
অভিযোগ গতরাত্রে খাদান মালিকের গুন্ডাবাহিনী এসে আক্রমণ চালায় গ্রামবাসীদের উপর। অভিযোগ বেশ কয়েকটি মোবাইল ভাঙচুর এবং বেশ কয়েকজনকে আহত করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সম্ভব হয়নি স্থানীয়দের প্রচেষ্টায়। ওদের আরো অভিযোগ তারা বন্দুক ও নানা হাতিয়ার নিয়ে এসেছিল গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালানোর জন্য। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ আছে। তবে গ্রামবাসীদের আবারো দাবি তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গেলে ফের গ্রামে গিয়ে তাদের মেরে গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা।