মনীশ মালহোত্রার দীপাবলি পার্টিতে বলি-গ্ল্যামারের ছটা! উৎসবের মেজাজে চাঁদের হাট, কারা এলেন? |
স্বপনকে দেখে সরে গেলেন, অথচ খগেশ্বরকে দেখে গাড়ি দাঁড় করালেন মমতা
খগেশ্বরকে দেখে গাড়ি দাঁড় করালেন মমতা
দুর্নীতির অভিযোগে পদ গিয়েছিল তৃণমূল নেতার (TMC)। সোমবার সেই তৃণমূল নেতাকে দেখেই সরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটাও কথা বের হয়নি মুখ থেকে। তবে কি এখনও ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী? উঠছে সেই প্রশ্নই।আজ অর্থাৎ সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সফরে জলপাইগুড়ি জেলার দুই প্রান্তে দুই ছবি দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মালবাজার শহরের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করতে এগিয়ে আসেন মাল পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা ১ মাল পৌরসভার নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বপন সাহা। তবে মমতা সরে যান সেখান থেকে। সঙ্গে-সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে টেনে সরিয়ে দেন সেখান থেকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাল পৌরসভায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় স্বপন সাহাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে দল সাসপেন্ড করে।
অপরদিকে, মালবাজারের কর্মসূচি শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী তিস্তা নদীর গজল ডোবা সেতু দিয়ে পাহাড়ে যাচ্ছিলেন। সেতুর রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। তাঁকে দেখে কনভয় থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এগিয়ে যান বিধায়ক। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় খানিকক্ষণ কথা বলেন বিধায়কের সঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় চলে যাওয়ার পর খগেশ্বর রায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী জানালেন আজ তিনি কোনও যায়গায় দাঁড়াননি। কিন্তু আমায় দেখে দাঁড়িয়ে গেলেন। একই সঙ্গে রাজগঞ্জ বিধানসভা ভাল করে দেখে রাখতে নির্দেশ দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দুই ঘটনার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী কি তৃণমূল নেতাদের নিঃশব্দে কোনও বার্তা দিলেন? থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন।
এ দিকে, উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে বিপর্যয় বিধ্বস্ত নাগরাকাটায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার সকালেই পূর্ব পরিকল্পিত ঘোষণা মতো বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে মোট পাঁচদিন থাকবেন মমতা। পরিদর্শন করবেন একাধিক এলাকা। তার সঙ্গে চালিয়ে যাবেন পর্যালোচনা বৈঠক। দুর্গতদের হাতে তুলে দেবেন ত্রাণ